Aayan Das

Drama Comedy

3  

Aayan Das

Drama Comedy

ছায়াছবির দুনিয়ায়

ছায়াছবির দুনিয়ায়

2 mins
9.7K


এই মহূর্তে তেলুগু ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির সবচেয়ে লাস্যময়ী নায়িকার নাম রচনা স্মিথ। হোটেলের টিভিতে দেখছিলাম রচনার একটি ফিল্ম।

একটি অনিন্দ্যসুন্দর সবুজ পাহাড় থেকে প্রবল বেগে নেমে আসছে একটি যুবতী ঝর্ণা।সেই ঝর্ণায় স্নান করছে নায়িকা।নায়িকার পরনে একটি সাদা শাড়ি(আজ্ঞে হ্যাঁ,শুধুই একটি শাড়ি)।নায়িকা স্নান করছে আর গান গাইছে।তেলুগু ভাষা বুঝিনি কিন্তু গানটির অপূর্ব সুর এখনও কানে লেগে আছে সঙ্গে স্নানরতা রচনার অনন্য শারীরিক অভিনয়,চোখ ও ঠোঁটের লাস্যময়তা যেকোনো পুরুষের মনে আগুন ধরিয়ে দিতে পারে।

সেই রচনা এখন দাঁড়িয়ে রয়েছে আমার চোখের সামনে।পরনে হাতকাটা সাদা রঙের টপ ও নীল রঙের জিন্সের হটপ্যান্ট।রচনার কলাগাছের মত অলিভ রঙের নিটোল দুটি পা সত্যিই আকর্ষনীয়।দক্ষিনের নায়িকাদের মধ্যে জিরো ফিগারের ন্যাকামি নেই।

আমরা এসেছি ভাইজ্যাগ থেকে একটু দুরে 'রামা নাইডু' স্টুডিওতে।সেখানে এখন তেলুগু সিনেমার শ্যুটিং হচ্ছে।রচনাও নিশ্চয়ই শ্যুটিং করতেই এসেছে।সে আমাদের দিকে তাকিয়ে হাত নাড়ছে,মুখে হাসি।

একটু পরেই হৈ হৈ শুনে দেখি কালো রঙের মার্সিডিজ থেকে নামলেন বিখ্যাত তেলুগু হিরো নাগার্জুন।আমি নাগার্জুনার ফ্যান।নাগার্জুন ও রচনা একই ফিল্মে কাজ করছেন।দুজনেই আমাদের দিকে তাকিয়ে হাত নাড়তে লাগলেন।হাত নাড়তে নাড়তে দুজনে কি যেন বলছেন আর আমার দিকে তাকিয়ে রয়েছেন।এবার নাগার্জুনা হাত নেড়ে আমাকে ডাকলেন।আমি কাছে এগোতেই নাগার্জুনা বললেন,-''আর ইউ তেলুগু?ইউ লুক লাইক প্রভাস-''

শুনলাম একজন তেলুগু হিরোর নাম প্রভাস,আমাকে নাকি তার মত দেখতে৷সেরেছে,

কয়েক বছর আগে আমরা সপরিবারে কুলু মানালি বেড়াতে গেছিলাম,আমাদের সঙ্গে গেছিলেন আমার বড়মামা যিনি প্র্যাকটিক্যাল জোক্ করতে ওস্তাদ।সেবার মানালিতে সরকারি গেষ্ট হাউসে উঠেছিলাম।হোটেলের লাউঞ্জে বসে খুব মন দিয়ে সত্যজিৎ রায়ের লেখা-Our films their films পড়ছি,এমন সময় দেখি দশ -পনেরো জন নারী পুরুষ উৎসুক দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকিয়ে আছে।

পরে জানতে পারি বড়মামা রটিয়ে দিয়েছেন-আমি তামিল সিনেমার জনপ্রিয় হিরো নাগরাজন ।এখানে শ্যুটিং করতে এসেছি।ঐ নামে কেউ আছে কিনা জানিনা তবে বড়মামার ঐ নিখুঁত গুল লোকে বেশ খেয়েছিল।এই নিয়ে সেবার মজা হয়েছিল খুব।

সেবার নাগরাজন এবার প্রভাস।

আরেকটু দুরে এগিয়ে গেলাম।এখানে নাচের শ্যুটিং হচ্ছে।তেলুগু হিরোইন তাপসী দৌড়ে গিয়ে নায়কের কোলে উঠে পড়ছে।একই দৃশ্য বিভিন্ন অ্যাঙ্গেল থেকে তিনবার শ্যুট হল।দক্ষিনের নায়িকাদের শরীর কথা বলে।

একটা ঘরে বিভিন্ন দক্ষিনী হিরো হিরোইনদের ছবি টাঙানো রয়েছে।আরেকটি ঘরে বিভিন্ন ক্যামেরা রয়েছে।উপর থেকে নিচের সমুদ্রের দৃশ্যটি ভারি মনোরম।

আমরা ঘুরে ঘুরে বিভিন্ন ছবির শ্যুটিং দেখতে লাগলাম।আশ্চর্যজনকভাবে সবার দৃষ্টি আমার দিকে।

রচনা শ্যুটিং শেষ করে যাওয়ার সময় আমার দিকে হাত নেড়ে চলে গেল।

পাঠক এতক্ষন যা পড়লেন তার একবর্ণও সত্যি না।কিন্তু তবু এই গালগল্পটি লিখলাম কারন বেশ কয়েকটি ভ্রমন কাহিনীতে লেখকদের এইসব গালগল্প আমি পড়েছি এবং বিশ্বাস করেছি।সবাই নাকি প্রচুর শ্যুটিং দেখে থাকেন ও হিরো হিরোইনদের সাথে ইন্টারাক্ট করেন।আসলে সত্যিকারের শ্যুটিং হলে সেখানে ট্যুরিষ্টদের আদৌ ঢুকতে দেওয়া হয়না।পুলিশ প্রহরা থাকে।তবু লেখকরা মিথ্যে কথা পাঠককে পরিবেশন করে আনন্দ পান।

সারা স্টুডিও চষে ফেলেও আমরা হার্টথ্রব নায়ক নায়িকা তো দুরস্থান,সামান্য একজন জুনিয়র আর্টিষ্টকেও দেখতে পাইনি।


Rate this content
Log in

Similar bengali story from Drama