STORYMIRROR

pallab kumar dey

Drama Action

3  

pallab kumar dey

Drama Action

ব্রহ্মপুত্র যায় বয়ে-46-মোস্ট ওয়ান্টেড!

ব্রহ্মপুত্র যায় বয়ে-46-মোস্ট ওয়ান্টেড!

7 mins
6


আবারও আমার পড়াশোনায় ব্যাঘাত। প্রায় সময়েই কলেজ বন্ধ। আবারও শুরু হয়েছে অসমে এক নতুন আন্দোলনের প্রস্তুতি। সমস্ত বিদেশিদের অসম থেকে খেদিয়ে তাড়িয়ে পাঠাতে হবে বাংলাদেশে। কানাঘুষোয় আন্দোলনের একটা নামও তৈরি হয়ে গেছে, “বিদেশি খেদা”।

 অসমবাসী আর কত রকমের আন্দোলনের সাক্ষী হবে, আর কতকাল ধরে তার ফল ভোগ করতে থাকবে বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর লোকেরা! কলেজ আজ বন্ধ বলে দুপুরে খেয়েদেয়ে সবে মাত্র শরীরটা একটু বিছানায় এলিয়েছি।

 ওমনি পিতৃদেব ঘরে ঢুকলেন হন্তদন্ত হয়ে। তিনি উদ্বিগ্ন ও বিচলিত।

 ‘খুকন কই, খুকন?’ জিজ্ঞেস করলেন মাকে।

 মা’ও তখন মাত্র চোখ বুজে একটু তন্দ্রার ঘোরে। অসময়ে পিতৃদেবকে দেখে উঠে বসলেন ধড়ফড় করে। তিনি কিছু বলার আগেই পিতৃদেব এ ঘরে এসে আমাকে দিবা নিদ্রায় শোয়া দেখেও আজ আর কোনওরূপ বকাবকি না করে ব্যস্ত বিচলিত হয়ে বললেন, এক্ষনি চল আমার সঙ্গে!

 বিমূঢ় বিস্ময়ে আমি উঠে বসলাম।

 মা হতবাক। জিজ্ঞেস করলেন, এরে লইয়া কই যাইবা অহন?

 ‘এসআইবি’র জেলার এডি(অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর, সাবসিডায়ারি ইন্টিলিজেন্স ব্যুরো) অফিসে।’

 ‘এইডা আবার কোন অফিস?’

 ‘এখন টাইম নাই, পরে তুমারে বুঝাইয়া কমু। এখনি এইডারে না নিয়া গেলে পুলিশরে দিয়া অ্যারেস্ট কইরা লইয়া যাইব কইছে!’

 ‘কী করছে? কীয়ের লাইগ্যা?’ পিতৃদেবের দিকে হতভম্ব হয়ে তাকিয়ে রইলেন মা।

 পিতৃদেব উত্তর দিলেন, তাদের সন্দেহ বাংলাদেশ থিকা গ্রেনেড নিয়া আইছে আমার এই কুষ্মাণ্ড।’

 ‘এইসব কী ছাতামাথা কইতাছ?’ মা স্তম্ভিত।

 ‘আমি কইতাছি? কইতাছে আইবি’র লোকরা। আমার কোর্টে আইছিল তারা। এখনি লইয়া যাইতে কইছে এইডারে। নাহইলে অ্যারেস্ট করব!’

 হাতপা কাঁপছিল আমার। আজকের কথা? সেই কবে, পাঁচ বছর হতে চলল প্রায় গিয়েছিলাম আমি বাংলাদেশে। এতকাল বাদে এই কী যন্ত্রণা এসে হাজির হল দুয়ারে? আমার জন্যে আর কত লাঞ্ছনা পোহাতে হবে বাবা-মা’কে?

 বসে পড়লেন মা মাথায় হাত দিয়ে। সান্ত্বনা দেওয়ার মতোও তো কেউ নেই কাছে। আমার দাদাদিদিরা সবাই তো দূরে দূরে। 

 শরীর যেন ছেড়ে দিয়েছি আমি। যেন হাতপা অবশ দুর্বল লাগছিল। কোনওরকমে সার্টপ্যান্ট পরে বেরোলাম আমি পিতৃদেবের সঙ্গে। রিকশা দাঁড়ানোই ছিল রাস্তায়।

 হয়বরগাঁও এলাকার খুটিকটিয়ার দিকে অফিসারের ভাড়া বাড়ি। এসাইবি’র জেলাস্তরের অফিসও। অফিসার বসতে বললেন আমাদের।

 সুন্দর ভদ্রস্থ চেহারা। পরিচয় হল পিতৃদেবের সঙ্গে। আইবি’র অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর মিস্টার হাজারিকা। পদ মর্যাদায় পুলিশের এসপি’র সমান।

 কোনও তেরছা নয় সোজাসাপটা আমায় জিজ্ঞেস করলেন, কলেজেত পড়িছা?...কলেজে পড়ছ?

 মাথা ঝাঁকালাম, হাঁ। 

 ‘বছর চারি আগত এবার জানুয়ারি মাহত অসমর পরা পলাই বাংলাদেশত গইছিলা, হয় নে?...বছর চার আগে একবার জানুয়ারি মাসে অসম থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে গিয়েছিলে, তাই না?’ জিজ্ঞাসা করলেন অফিসার।

 আবারও মাথা ঝঁকালাম, হাঁ।

 ‘তেনেহলে যি বিলাক গ্রেনেড...তাহলে যে গ্রেনেডগুলো বাংলাদেশ থেকে নিয়ে এসেছ সেগুলো আমাদের ফেরত দিয়ে দাও।’ অফিসার গম্ভীর সুরে বলে উঠলেন, আর যদি না দাও আজই পুলিশকে দিয়ে বাড়ি সার্চ করাব। ইয়ংবয় ভয়ের কিছু নেই। গ্রনেডগুলো ফেরত দাও, আর কোথায় গিয়েছিলে, কে বা কাদের থেকে ওগুলো পেলে সব খুলে বলো, কথা দিচ্ছি অ্যারেস্ট করাব না।’

 আকাশ থেকে পড়ার অবস্থা আমার। হতভম্ব স্তম্ভিত কী বলব আমি কিছুই ভেবে পাচ্ছিলাম না। যেন আপন মনেই বলে উঠলাম, হাঁ স্যার বাংলাদেশে গিয়েছিলাম সত্যি, সে তো অন্য কারণে!

 ‘ইয়ংবয় পড়াশোনা করো, কেন এসবে জড়িয়ে পড়ছ? অনেক রিপোর্ট আছে তোমার এগেনস্টে। বাংলাদেশ থেকে ফেরার সময় ধরা পড়েছিলে তুরা বর্ডারে। বাংলাদেশ রাষ্টপতির প্রাইভেট সেক্রেটারির কোয়ার্টারে নাকি তুমি ছিলে কয়েকদিন, বলেছ? বাংলাদেশ গোয়েন্দাসূত্র বলছে সব বয়ান মিথ্যে!’

 ‘সত্যি বলছি স্যার, আমি ঢাকার বঙ্গভবনে ছিলাম দু’দিন!’

 ‘এই চুপ শুয়োর!’ পিতৃদেব ক্রুদ্ধ হয়ে উঠলেন। যেন মেরেই বসবেন আমাকে।

 অফিসার পিতৃদেবকে শান্ত হতে বললেন। 

 আবারও আমি কাতর সুরে বলে উঠলাম, সত্যি বলছি স্যার কোনও কারণে নয়, এমনিই চলে গেছিলাম বাংলাদেশে! গ্রেনেড আমি কোত্থেকে আনব, কে দেবে আমায়? আর আনবই বা কেন?

 স্যার যেন গভীর অণুবীক্ষণের মতো তাকালেন আমার দিকে। জিজ্ঞেস করলেন, তুমি কি কোনও দল অথবা সংগঠন কিছু করো?

 ‘না!’ আবারও অবাক আমি।

 ‘এখানে কাছেই সমাদ্দারপট্টিতে কোথাও তোমার যাতায়াত যাছে?’

 ‘হাঁ, সমাদ্দারবাড়িতে টিউশন পড়াই।’

 ‘না না। রিপোর্টে অন্য কিছু আছে। একজন স্কুলশিক্ষক আছনে ওখানে। সেখানেই তোমার যাতায়াত!’

 ‘হাঁ আগে যেতাম, আমাদের স্কুলের স্যার।’

 ‘কী হতো ওখানে? আনন্দমার্গের ক্লাস?’

 ‘হাঁ একদু’বার গেছি। এখন আর যাই না ওখানে।’

 ‘সেটাই তো বলছি ছেড়ে দাও ওসব। এখনও সময় আছে।’

 বলে তিনি তাকালেন পিতৃদেবের দিকে। বললেন, বুঝে গেছি, একেবারে ইননোসেন্ট বয়! অথচ আমাদেরকে বলা হয়েছে মোস্ট ওয়ান্টেড! আমার অবাক লাগছে এত ভয়ানক রিপোর্ট হল কি করে ওর বিরুদ্ধে? প্রথম দিকে নাকি নকশালি, পরে আনন্দমার্গ? আর দুটোই নিষিদ্ধ সংগঠন! কি যা তা সব রিপোর্ট! ওপর মহল থেকে ‘মিসায়’(এমআইএসএ) অ্যারেস্টও করার কথা হয়েছে! সেরকমই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে গুয়াহাটি থেকে। বলুন তো, এই ছেলেটাকে এখন মিসায় অ্যারেস্ট করলে জীবনটাই তো বরবাদ হয়ে যাবে!

 অফিসারের বদান্যতায় পিতৃদেব হাতজোড় করার মতো অবস্থা। অফিসার আমাকে ছেড়ে পিতৃদেবর সঙ্গে মাতলেন হালকা কিছু কথায়। অফিসার পিতৃদেবকে বলছিলেন, চিন্তার আরও বিষয় হল, ভালো ভালো কিছু ছেলে অন্যদিকে চলে যাচ্ছে। তাদের অন্যরকম ভাবনা। হাতে অস্ত্র তুলে নিতে চাইছে তারা।      

  আমার মনে পড়ে যাচ্ছিল বছর দুই আগের কলকাতার যাদবপুর থেকে পালিয়ে আসা মোস্ট ওয়ান্টেড দুর্ধর্ষ সেই নকশালি যুবকটির কথা। তার গালমুখ যেরকম কলো কুচকুচে গোঁফ দাড়িতে ভরতি, তেমনি মাথাটা পুরোটাই খালি। একটাও চুল নেই তার মাথায়। চাবুকের মতো চেহারা। আমার এক বন্ধু কানুর সঙ্গে তার কি করে যেন পরিচয়। আসলে রতনেই রতন চেনে। নইলে কানুর সঙ্গে পরিচয় কেন হবে? কানুও কম কীসে?

 পালিয়ে এসেছে সে অসমে। এবার থাকবে কোথায় সে? দেশটা অসম বলেই যে সব নিশ্চিন্ত তা তো নয়। সে এখানেও ধরা পরে যেতে পারে। কানু সামনে পেয়ে পাকড়াও করে ফেলল আমাকে। বলল, তুই তো বাড়ি যাবি? সাইকেলে ওকে নিয়ে যা তো, যাওয়ার পথে হয়বরগাঁও পূজাবাড়ি নামিয়ে দিবি। ওখানে কিছু ব্যবস্থা করতে পারলে তো ভালো, নইলে নেহেরুবালির শিবমন্দির।

 ওর ওই উদ্ভট প্রস্তাবে তাজ্জব আমি। বললাম, আমার সাইকেলে? আমি নিজেই ভালো করে সাইকেল চালাতে পারি না, আবার আরও একজনকে পেছনে বসিয়ে?

 যুবক সঙ্গে সঙ্গে বলে উঠল, ও চিন্তা নেই, আমি চালিয়ে নিয়ে যাব। ছালা পুলিছের চোখে ফাঁকি দিয়ে কতবার পালিয়েছি সাইকেলে?

 মহা মুশকিলে পড়া গেল তো! আমার তো একেবারেই ইচ্ছে নেই ওই যুবক আমার সঙ্গে যায়। আবার ওই দোষও তো আছে আমার। কেউ কিছু অনুরোধ করলে মুখের ওপরে না বলতে পারি না।

 যুবক আমার হাত থেকে যেন কেড়ে নেওয়ার মতো নিয়ে নিল সাইকেল। কানুকে বলল, পূজাবাড়ি একবার পৌঁছে গেলে ঠিক ছালা ম্যানেজ করে নেব। ব্যাগটা দাও।

 কানু ছোট্ট এক ঝোলানো ব্যাগ দিল এগিয়ে। নিজে সাইকেলে ব্যায়ামবীরের মতো এক পা উঠিয়ে বসে আমাকে বলল, পেছনের কেরিয়ারে বছো।

 ছুটল সাইকেল যেন পক্ষীরাজ ঘোড়া। এই বুঝি লাগিয়ে দিল কোনও রিকশায়, নয়তো জাতীয় সড়কের কোনও ট্রাকের চাকায়। বুক কাঁপছিল ওর সাইকেল চালানোর ধরণ দেখে।

 ফাঁক ফোকরের মধ্যে দিয়ে উকুনের মতো এগিয়ে চলল সে। কলংসুতির কাঠের সেতুর ওপরে উঠল সাইকেল। সেতুর জায়গায় জায়গায় পাটাতন খসে পড়া অনেকদিন থেকেই। সবাই খুব সাবধানে যাতায়াত করে। কোনও যানবাহন তো দূর রিকশা চলাচলও কিছুদিন থেকে বন্ধ। যুবক চোদ্দো বেঁকা বেঁকিয়ে সেতু পার হয়ে নামল হয়বরগাঁওয়ের রাস্তায়।

 গতিও এমন বেশি, তাড়াতাড়ি বলতে হল আমাকে, ডানদিকে চলুন।   

 পূজাবাড়ির সামনে সাহাবাবুর সঙ্গে দেখা। তিনি পূজাবাড়ির একজন পদস্থ ব্যক্তি। সাইকেল থামতেই কোতূহলী তিনি তাকালেন আমার দিকে।

 চতুর যুবক বোধহয় বুঝে গেল ইনিই পূজাবাড়ির কোনও কর্তাব্যক্তি। কোনও ভণিতা নয়, সরাসরিই বলে বসল, এই যে দাদা কলকাতার যাদবপুর থেকে এছেছি। দুতিনদিনের জন্যে আমায় থাকতে দেবেন আপনাদের পূজাবাড়িতে?

 ‘মানে?’ হতভম্ব সাহাবাবু, কী ব্যাপার, আপনি কে? আপনার কথার মানে তো কিছুই বুঝলাম না? আপনাকে চিনি না, জানি না, পূজাবাড়িতে কেন থাকতে দেব?

  আমার দিকে তাকিয়ে হুকুম দিল যুবক, এ যো ভালো ভীতু ছেলে বুঝিয়ে দাও তো।

 কি ঝামেলায় ফেলল কানু আজ আমাকে! বলতেই হল সাহাবাবুকে সব খুলে। আর ওই শুনে সাহাবাবু গেলেন আরও বিগড়ে, কোনও নকশালকে আমরা জায়গা দেই না।

 ‘ছালা তোর খুলি উড়িয়ে দিতাম যাদবপুর হলে।’ বলে বসলেন যুবক। বলেই হ্যাঁচকা টানে তুলে ফেলল সে আমাকে সাইকেলে।

 ‘ভালো ছেলে চলো আমার সঙ্গে।’

 সাহাবাবু পেছন থেকে বকে যাচ্ছিলেন আমাকে।

 আবারও যেন সেই পক্ষীরাজ। এবার আরও দ্রুত। সাইকেল না বাইক কল্পনা করাও মুশকিল।

 ভাগ্য সহায়। কানু ওকে ফিরতে দেখেই বলল, ও ভালো করেছ এসে বন্ধু, প্রবলেম সলভ! দুইতিনদিন তো আরামে। আমাদের স্কুলের জিমনাস্টিকসের ঘরে এক ব্রেন ডিফেক্ট স্যার কয়দিন ধরে তন্ত্রসাধনা নিয়ে পড়েছেন। ওখানে অনায়াসে, কেউ টের পাবে না!

 ছিল কিছুদিন সেই যুবক তন্ত্রসাধক স্যারের সঙ্গে। স্যারের সঙ্গে তন্ত্র সাধন করতে করতে হঠাৎ সেও একদিন গেরুয়া বসন পরিধান করে সন্ন্যাসীর মতো হয়ে গেল। তারপর কোথায় যে উধাও হয়ে গেল কেউ জানে না। 

 অফিসার পিতৃদেবকে আরও হয়তো কিছু বলবেন। এমন সময়েই ওনার চেম্বারের ভেতরের ঘর থেকে দরজার পরদা ঠেলে বেরিয়ে এল আমারই এক সহপাঠিনী ময়ূরী। নতুন এসেছে সে কলেজে। আমি তাকে চিনলেও কথা নেই ওর সঙ্গে অতটা। খুবই মনোযোগী সে পড়াশোনায়। যেরকম মেধা সেরকম রূপ, দুদিকেই সে অনেকের ওপরে।

 হঠাৎ চমকে উঠলাম যেন আমি। আমাকে দেখে ময়ূরীও অবাক। 

 আমাকে সে জিজ্ঞেস করল, ফুকন তুমি ইয়াত? কিয় আহিছা, কিবা কাম?...ফুকন তুমি এখানে? কেন এসেছ, কোনও কাজ?

 ‘মোক মাতি আনিছে স্যারে।…আমায় ডেকে এনেছেন স্যার।’

 ‘স্যার?’ তাকাল সে অফিসারের দিকে, দেওতা?...বাবা?

 মেয়েকে পালটা প্রশ্ন অফিসারের, তুমি তাক চিনি পোয়া নেকি?...তুমি ওকে চেনো নাকি?

 ‘হয়, হিও স্ট্যাটিসস্টিক্স লই মোর লগতে পড়ে। খুব ভাল লোরা।...হাঁ, সেও তো স্ট্যাটিসস্টিক্স নিয়ে আমার সঙ্গে পড়ে। খুব ভালো ছেলে!’

 অফিসার তাকালেন আমার দিকে, বাঃ ভালোই হল, আমি তো জানতাম না তোমরা একসঙ্গে পড়ো?

 সহপাঠিনীর মা’ও বেরিয়ে এলেন ভেতর ঘর থেকে। যাচ্ছেন কোথাও তারা।

 ‘বহা, গল্প পাতি থাকা দেওতার লগতে, বলে সহপাঠিনী তাকাল আমার পিতৃদেবের দিকেও, জিজ্ঞেস করল, তোমার দেওতা? মহ্‌(মেসো) আপনিও বহক।

 চলে গেল ওরা। ওরা চলে যেতেই অফিসার পিতৃদেবকে বললেন, কোনও ভয় নেই। আর কোনও অ্যাকশনও নেওয়া হবে না। যা রিপোর্ট দেওয়ার দিয়ে ফাইল ক্লোজ করে দেব।

 তাকালেন অফিসার আমার দিকে, স্ট্যাটিসস্টিক্স তো ভালো সাবজেক্ট। রেজল্ট ভালো করতে পারলে ব্রাইট ফিউচার! ওসব দলটলের পেছনে দৌড়িয়ে জীবনটাকে নষ্ট করে দিও না। পড়াশোনা করো মনোযোগ দিয়ে। 

 আমি বেরিয়ে এলাম ওনার চেম্বার থেকে মাথা নিচু করে। সরকারের সাঁড়াশি তদন্তে হাল আমার আজ হয়ে গেছিল প্রায়! জোর বাঁচা বাঁচলাম। সত্যি সত্যিই ‘মিসায়’ আমি অ্যারেস্ট হয়ে গেলে আমাদের গোটা পরিবারকে এর ফল ভোগ করতে হতো। আর জীবনটাও বরবাদ হয়ে যেত আমার।

 

 next episode- ঘুঘুরবাসায়


Rate this content
Log in

Similar bengali story from Drama