বিরতি
বিরতি
আমি তোমার থেকে বিরতি চাই,এতটুকু বিরতি চাই যেখানে
আমি প্রাণ খুলে দমটুকু নিতে পারি,নিজের ক্ষতগুলোকে শুকাতে পারি
যেখানে নিজের উন্মুক্ত শরীরের দিকে তাকিয়ে বুঝতে পারি
যে আমার দেহটি পুড়ে যাওয়াই ভালো,নারীর কোমল চামড়া
যদি পুরুষের মনকে শাসন করতো,তবে আমি জন্মাতাম না।
আমার অঙ্গের রোমকূপে যেথায় কাম ছাড়া আর অন্য
সুখ নেই,রঙীন বস্ত্র থাকার পরেও গায়ের সুবাসে আটকে যায়
এমন আকর্ষিত কাঠের পুতুল না হয়ে, আমি যদি মৃত হতাম
তবে যে কেউ উচ্ছিষ্ট বুঝে টেনে ছিঁড়ে নিত,এটাই হয়,ভুল না।
মিছে-মিছে মা,বোন,বউ উপাধি পাওয়া একটা লজ্জা বলে মনে হয়
আঁচলের ফাঁকে মাংস খোঁজা হয়, বড় বড় চোখ দিয়ে
ওই খাদ্যবস্তু যা না হলে শিশুর শব কবর হয়ে থাকত
আমিই যে দেখেছি আমার চোখ, কান, নাক, সব সবকিছু
কারোর কাছে প্রেমের বিষয় ছিল না, সব ছিল উপভোগের
বস্তু,এতে আর আশ্চর্য হয় না, মনে হয় আমিই সেই পুষ্করিণী
যার ধর্ম বিলিয়ে দেওয়া, যার ধর্ম নিজেকে সকল স্থানে মানিয়ে নেওয়া, যার কর্ম জীবন দান দিয়ে, ব্যবহারের বর্জ্য হয়ে যাওয়া, আমি কি নারী? মাঝে-মধ্যে আমার সন্দেহ হয়
বোধহয় আমি ত্যাগ ছাড়া, কিছুই না! কিছুই না!
