Rubaiya Jesmine

Tragedy Classics Crime

4.7  

Rubaiya Jesmine

Tragedy Classics Crime

বেওয়ারিশ

বেওয়ারিশ

7 mins
177



উদ্দাম নৃত্যে ষোড়শীটি নেচে চলেছে বিহুর তালে।চা বাগানের ম্যানেজার হবার সুবাদে অঞ্জনও সেখানে আমন্ত্রিত।অদ্ভুত সুন্দরী ষোড়শী টি,না ফর্সা না শ্যামলা,মনে হচ্ছে যেন পূর্ণিমাতিথির বাঁধভাঙা আলোতে সব কিছু একমুহুর্তের জন্য থেমে গেছে । খোঁপায় কয়েকটা নাম না জানা বনফুল,গলায় একখানা হাতে তৈরি কাঠের মালা,হাতে হলুদ আর লালের আভা মেশানো কয়েকখানা রেশমি চুড়ি, পরনে লাল পাড়ের খুব সস্তা একখানি হলুদ রঙের শাড়ি তার চিকণ ছিপছিপে শরীরে অপরূপ লাগছিল।আসামের উদলপুর,জোড়হাট,শোণিতপুর,তিনসুখিয়ায় মুলত এই বিহু নাচ হয়।এই নাচে তরুন তরুণীরা অংশগ্রহণ করে।


   শোণিত পুর জেলার একটি ছোট্ট গ্রাম এই তেজপুর।প্রাচীন কালে যেমন শোণিত পুরের রাজা বনসুরার কন্যা উষা যেভাবে স্বপ্নে দেখেই এক পুরুষের প্রেমে পড়েছিলেন ঠিক সেভাবেই অঞ্জন মীরার প্রেমে পড়ল প্রথম দেখাতেই।বিহুর তালে শুধু শরীরই দুলে উঠলো না অঞ্জনের মনও দুলে উঠলো।কল্পনায় বিভোর হল সে,বিহুর তালে তাল মেলাতে মেলাতে কখন যেন দুজনের চোখ এক ফ্রেমে ধরা পড়লো। প্রথম দেখেই অঞ্জনের মনে হলো যেন পৃথিবীর সমস্ত স্নিগ্ধতা আর গভীর শান্তির ছায়া ঈশ্বর তার মধ্যে ঢেলে দিতে একফোঁটা কার্পণ্য করেন নি।বিহুর তালে তার সারা শরীর নেচে উঠছে!


   অঞ্জন মুখার্জী বর্ধমানের সম্ভ্রান্ত পরিবারের একমাত্র ছেলে।বাবা মায়ের আদরের সন্তান। অত্যধিক যত্নে পালিত সে,এই সুপুত্রটির জন্য সুন্দরী পাত্রী খুঁজতে মা দিনরাত এক করে দিচ্ছে।ছেলের জন্য মায়ের চিন্তার অন্ত্য নেই।তার বাবা মস্ত বড় চেয়ারপার্সন। 

চাকরি সুত্রেই তার আসামে থাকা। এতোদিন এখানে অঞ্জনের 

মন বসত না যদিওবা এখানে আসামি,হিন্দি,বাংলা ভাষাভাষীর মানুষ থাকায় ভাব বিনিময়ে কোন অসুবিধা হতো না অঞ্জনের।তবুও কোথায় যেন একটা শূন্যতা ছেয়ে থাকত তাকে,কতদিন,কতদিন বিকেল সে গণেশ ঘাটে বসে একা একা সূর্যাস্ত দেখেছে,সূর্যাস্তের একাকীত্বকে নিজের সাথে মিশিয়ে নিয়েছে।কতরাত ভাবনা গুলোকে সাদা পাতায় জমিয়ে রাখতে মোমের শেষ আলোটুকুও নিভে গেছে।শরৎ, রবীন্দ্র সাহিত্য কে প্রণয়িনীর মতো বুকে জড়িয়ে কত নিদ্রাহীন রাত কাটিয়েছে।কিন্তু মীরা কে দেখার পর যেন তেজপুর কে অঞ্জন নতুন করে আবিষ্কার করতে শুরু করল।

কখন যেন নিজের অজান্তেই অঞ্জন মীরার প্রেমে পড়ে গেল। মীরা টুডু অঞ্জনের বাগানেই চা তুলতে আসে।অঞ্জন মনে মনে তার মানসপ্রিয়া কে নিয়ে রোজ পাড়ি দেয় নীলনির্জনে।যেখানে কেউ নেই, 

জীবনের বোঝাপড়া নেই,ব্যস্ততা নেই,কোলাহল নেই শুধু সে আর তার মানসপ্রিয়া মীরা।


   আজ সকাল সকাল অঞ্জন গায়ে দামী পারফিউম লাগিয়ে বেড়িয়ে পড়ল চা বাগানের উদ্দেশ্যে। কিন্তু সকাল থেকেই তার চোখ কারোর অপেক্ষায় ক্লান্ত হয়ে পড়েছে।মীরা কে সে দেখতে পেল না তাই খানিকটা ইতস্ততভাবেই সে বাগানের চৌকিদার রাম সিং কে জিজ্ঞেস করল"মীরা নেহি আয়া আজ রাম সিং? রাম সিং বেশ কয়েক হাত দূরেই দাঁড়িয়ে ছিল তাই চিৎকার করে উত্তর করল "সাব মীরা কভি নেহি আয়েগি কিউ কি মীরা কো বেচ দিয়া উসকি মামাজি"।অঞ্জনের মাথায় বাজ পড়ল।মনে পড়ল বেশ কিছদিন থেকেই মীরা অন্যমনস্ক। তার চোখে এক আতঙ্কের ছাপ দেখেছিল অঞ্জন কিন্তু জিজ্ঞেস করতেই মীরা এড়িয়ে চলে গেছে।তাছাড়া গ্রামের এক মাতালের সাথে মীরার মামা কেও খুব ধীরেধীরে কথা বলতে দেখেছিল অঞ্জন। একটু হলেও যে সন্দেহজনক মনে হয়েছে। অঞ্জন একমুহুর্ত বিলম্ব না করেই সে গাড়ি নিয়ে বেড়িয়ে পড়ল তেজপুর বস্তির দিকে,দেবতার মতোই সে এসে মীরা কে উদ্ধার করল,চোখ ভরে গেল মীরার, একবার পা ছুঁয়ে প্রণাম করল এই দেবতাকে।অঞ্জন তাকে বুকে জড়িয়ে রাখল আজ আর কোন ভয় নেই।এতদিন যে মানুষটার একটু কাছে আসবার জন্য সে ছটফট করেছে,যার জন্য প্রতিটি প্রহর গুনেছে আজ সেই মেয়েটি এত কাছে। তাই আজ আর নেই কোন সংকোচ,নেই কোন ভয় তাই অনায়াসেই নিজের মনের কথা টা বলল,তার নরম ঠোট দুখানি নিজের নিশ্বাস এর খুব কাছে টেনে নিল।মীরা যেন আলগাভাবে তার কাছে ধরা দিলো।মনে হচ্ছিল বিশ্বের সব বন্ধন এখানে তুচ্ছ ! একে অপরের কাছে আসা শুরু। তেজপুর থেকে দশ কিমি দূরত্ব এই রাঙাপারা রেলওয়ে স্টেশন। চারিদিকে সবুজের সমাহার,উঁচুনিচু ঢেউখেলানো বাগান,আর মাঝে মাঝে দুএকটি খড়ের ছাউনি দেওয়া বাড়ি।আর তার মাঝেই রাঙা পারা রেলওয়ে স্টেশন। এখানেই দুজনে বসে তাদের ভালোবাসার মুহুর্তগুলি কাটায়। মীরার খুব ভালো লাগে এখানে অঞ্জনের কাঁধে মাথা দিয়ে দূরগামী ট্রেন গুলোর ঝিক ঝিক শব্দ শুনতে। মীরা মাঝেমধ্যেই জিজ্ঞেস করে " আচ্ছা মুখার্জি বাবু এই রাস্তা দিয়ে সোজা গ্যেইলে কতদিনে তোমার বাড়ি পৌঁছাব ?", তার এসব পাগল পাগল প্রশ্নে অঞ্জন সজোরে হেসে উঠল।অঞ্জন খানিকটা মশকরা করেই বলল " তোমাকে হেটে যেতে হবে না, এক মস্ত বড় ট্রেন নিয়ে আসব তোমাকে নিতে, মীরা। " পাহাড়ের নিচে ঢেউ খেলানো চা এর দালানে তারা মাঝে মাঝেই হারিয়ে যায়, সাক্ষী থাকে কেবল পাহাড়িয়া কিছু বনফুল আর পাশের নদীটি।মীরা মাঝে মাঝে বলে ওঠে "মুখার্জী বাবু তুই মোক লিয়ে যাবি তোর দ্যাশে? " অঞ্জন তার হাত দুখানি শক্ত করে চেপে ধরে বুকের কাছে টেনে নিয়ে তার নরম ঠোটে ভালোবাসা একে দেয়,মীরাও পরম ভরসার আশ্রয়ে নিজেকে লুকিয়ে রাখে।আকাশের গাঁ বেয়ে টিপ টিপ করে বৃষ্টির ফোঁটায় মীরার চোখের কোণে চিক চিক করে ওঠা জলটা অঞ্জন দেখতে পেলোনা।


   সময় বইতে লাগল ! পরিবর্তনের এই দুনিয়ায় সামান্য পরিবর্তন আসল তাদের প্রেম জীবনেও ! সেদিন অঞ্জন মীরাকে নিয়ে গেল তার কোয়ার্টারে ! সন্ধ্যাবেলা দুজন মিলে রান্না করল ! তারপর চলতে থাকল অফুরন্ত গল্পের সম্ভার । মীরা বেশ মনযোগ দিয়ে শুনছিল।সময় যেন আজ থেমে গেছে অঞ্জনের হাতের ইশারায় ! থেমে গেছে নদীর জল, বাতাসের প্রবাহ ! প্রকৃতি কি তবে আজ প্রশ্রয় দিচ্ছে তাদের ? নাকি সময়ের গর্ভে লেখা আছে অন্য কোন ইতিহাস ?


   অনেক রাত হয়েছে। বাইরে ঝড় চলছে তাই সেই রাতে আর মীরা বাড়ি ফিরতে চাইলেও ফিরতে পারল না!!

 এখানেই কি শেষ আজ রাতের গল্প ? হয়ত না ! রাত আরও গভীর হল ! অঞ্জন বুকে টেনে নিল মীরাকে...তার তাজা সদ্যপ্রস্ফুটিত শরীরের প্রতিটি খাঁজে অঞ্জন তার ভালোবাসার আঁচর বসিয়ে দিলো, এক হয়ে গেল আজ দুটি মন দুটি শরীর।বাইরে আকাশ গর্ভ থেকে শেষ বৃষ্টির ফোঁটা টুকুও নিংড়ে পড়ল ফুটিফাটা মাটির বুকে।এই দুটি নিশাচর প্রাণী ছাড়া আর কেউ জানলে না আজ রাতের গল্প।সাক্ষী থাকল শুধু অন্ধকার আর বদ্ধ ঘরের চার দেওয়াল ! অঞ্জনের যৌবনের আকাঙ্খার সামনে আত্মসমর্পণ করল কিশোরী মীরার শরীর ও মন ! সমস্ত বাঁধা বন্ধনে পরিণত হল !


   সকাল হল ! বিছানার সাদা চাদরে অঞ্জন খুঁজে পেল রক্তের দাগ ! লাল টকটকে এই দাগ আজ সূর্যের রক্তবর্ণকেও ঈর্ষান্বিত করে দিল ! জানালা খুলল অঞ্জন...রাতে অনেক ঝড় বৃষ্টি হয়েছে ! নিজের তালে মত্ত দক্ষিণবঙ্গের এই পুত্রটি এক বিন্দুও টের পায়নি প্রকৃতির এই খামখেয়ালিপনার ! চাদরটা আর কাঁচল না অঞ্জন ! ফেলে দিল রাস্তার ডাস্টবিনে...


   সময়ের কাটা টাও যেন খুব জোরে জোরে চলল,দেখতে দেখতে বৈশাখ থেকে পৌষে ঠেকল।পূজোর ছুটি এলো। এবার ঘরে ফেরবার পালা অঞ্জনের,মন সায় দিচ্ছে না শরীর এগোচ্ছে না তবুও যেতে তো হবেই।তড়িঘড়ি অঞ্জন ট্রেন ধরবার জন্য ছুটল, মীরাও সাথে এসেছে তাকে বিদায় জানাতে। এই কয়েক মাসে মীরার হাতে বানানো খার ছাড়া আর অন্যকিছু খেতে ভালো লাগেনা অঞ্জনের তাই মীরা ট্রেনে খাবার জন্য তার জন্য খার বানিয়ে এনেছে।অঞ্জন একটা ফোন নাম্বার আর কিছু টাকা মীরাকে দিলো, অনাথ মেয়ে মীরা,মামা মামির সংসারে বড় হয়ে ওঠা তার। কিন্তু মীরা টাকা টা ফিরিয়ে দিলো আর অঞ্জনের হাতটা ধরে টেনে নিয়ে চলল স্টেশনের এক সস্তা দোকানে সেখানে চল্লিশ টাকা দামের একটি চকচকে আংটি কিনে নিল সে।ট্রেন ছাড়ল, একসময় মীরার দৃষ্টির বাইরে অদৃশ্য হয়ে গেল।কয়েকদিন, কয়েকমাস মাস কেটে গেল অঞ্জন আর ফিরল না।দক্ষিণবঙ্গ থেকে আসা ট্রেনগুলোর দিকে রোজ তাকিয়ে থাকে মীরা।সেদিন কখন যে বিকেল বেয়ে রাত হয়ে গেছে মীরা বুঝতেই পারলো না,সুনসান স্টেশন, আকাশ গর্জন করে চলেছে,চারিদিকে কালো অন্ধকারের ছাউনি। চার পাঁচটা অপরিচিত হাত তার মুখ চেপে ধরল,সারা রাত সেই নেকড়ের দল তার শরীরটা টেনে হিচড়ে খেলো। তার করুণ আর্তনাদে তারা বিন্দুমাত্র কর্ণপাত করল না।বেঁচে থাকবার প্রবল ইচ্ছে তখনও ছিল মীরার কিন্তু শেষ রক্ষা হলো না।পরের দিন ব্যস্ততম স্টেশনের পাশের ঝোপেই তার ক্ষতবিক্ষত নিষ্প্রাণ নগ্ন শরীরটা ঘিরে হাজারো কৌতূহলী চোখ।সকালে চা খেতে খেতে অঞ্জন টিভির পর্দায় চোখ রাখতেই শিউরে উঠলো। তখন গৌহাটি এক্সপ্রেস বর্ধমানে ঢোকেনি। বিন্দুমাত্র সময় নষ্ট না করে অঞ্জন ট্রেনে চাপল কিন্তু আজ কিছুতেই সময় যাচ্ছে না,ট্রেনের সমস্ত গতি যেন আজ থেমে গেছে।অঞ্জনের সমস্ত আত্মা মোচড় দিয়ে বলছে খবর টা যেন মিথ্যে হয় যেকোনো উপায়ে।তার মন কিছুতেই মানতে চাইছে না।সকাল গড়িয়ে দুপুর হয়েছে কিন্তু একফোঁটা জলও মুখে তুলল না অঞ্জন। মাঝেমধ্যে হাক পারছিল হকাররা চা-য় চা-য় বলে।যাত্রীতে ঠাসা,তার পায়ের কাছেই এক বৃদ্ধ বসেছিল,যদিও কোনদিকেই তার মন নেই,তবুও কানে ভেসে আসল সেই বৃদ্ধের ছেলে একটা টিকিট কেটে দিয়ে বৃদ্ধ বাবা কে ট্রেনে চাপিয়ে দিয়েছে অজানা ঠিকানায় যাবার জন্য,উদ্দেশহীন ভাবে ফেলফেল চোখে তাকিয়ে রয়েছে অঞ্জনের দিকে সেই রোগা পাতলা শীর্ণকায় বৃদ্ধ । ডালখোলা স্টেশনে ট্রেন দাড়াতেই সব যাত্রী নামবার জন্য ছুটাছুটি লেগে গেল আবার কিছু উঠবার জন্য।একজন জিজ্ঞেস করল " দাদা কোথায় যাবেন? " পাথরের মতো অঞ্জন একঠাঁই বসে কোন উত্তর করল না।সে সারাজীবনে এতবার ঈশ্বর কে স্মরণ করে নি আজ যতটা করল।"দূরে এক চা বাগানে মীরা চা তুলছে আর মুখার্জি বাবু বলে ডাকছে",এইতো আমার মীরা অঞ্জন তাড়াহুড়া করে চোখ খুলতেই দেখল পাশের সিটে মীরার মতোই এক যুবতী বসে আছে কিন্তু সে মীরা নয়।

তার চেতন মন অবচেতন মন শুধু বারবার বলল ' খবরটা যেন মিথ্যা হয় !" কিন্তু ভাগ্য অন্যকিছু লিখে রেখেছে তার জন্য। ট্রেনটা এক ঝটকায় শেষ বারের মতো ধোঁয়া ছেড়ে থেমে গেল রাঙাপারা রেলওয়ে স্টেশনে।উদভ্রান্তের মতো সে ট্রেন থেকে নেমে পড়ল, পিছন ফিরে তাকাতেই দেখল যে সেই বৃদ্ধটা কোথায় যেন ভিড়ের মধ্যে তলিয়ে গেল।অঞ্জনের সিটের পাশেই পড়ে ছিল বৃদ্ধের ছেলের খুব অল্পবয়সের একটা ময়লা ছবি,অনেক যত্নে ভাঁজ করা তাই অঞ্জন সেটা ফিরিয়ে দেবার জন্য চারিদিকে তাকাল কিন্তু কোথায় পেল না আর দেখতে।

পোর্স্টমর্টেন করার পর মীরার কাটাকুটি করা শরীরটা আর তার মামা নিতে চায় নি।তাই বেওয়ারিশ লাশের তালিকায় কুড়ি নাম্বারে পড়ে রইলো মীরা। কাটাছেঁড়া শরীরটা ঢেকে রাখা হয়েছে একটা সাদা চাদর দিয়ে ! তার ঠিক মাঝখানে সেই পূর্ব পরিচিত রক্তের দাগ ! যে দাগকে অঞ্জন একদিন ফেলে দিয়েছিল রাস্তার ডাস্টবিনে, সেই দাগটাই আজ অঞ্জনকে দাঁড় করাল সমাজের আঁস্তাকুড়ে !


   অঞ্জন নিজেকে সামলে নিয়ে কাছে গেল,অশ্রুরা আজ কিছুতেই সম্ভ্রান্তের বাধঁ মানল না,ঝর ঝর করে অশ্রু তার গাল বেয়ে বুকে গড়িয়ে পরল।একজন পুলিশ কর্মি লাশের হাতে পাওয়া সেই চল্লিশটাকা দামের আংটি টা এনে দিল অঞ্জনকে।বাইরে তখন গভীর ঝড়, উত্তাল আকাশ।ক্রিন ক্রিন করে বেজে উঠলো অঞ্জনের ফোনটা.....ওপার থেকে তার মায়ের কণ্ঠস্বর "খোকা তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরে আয়,কাল যে তোর বিয়ের লগ্ন"............




Rate this content
Log in

Similar bengali story from Tragedy