Debdutta Banerjee

Romance

1.0  

Debdutta Banerjee

Romance

বাজায় বাঁশি ভালোবাসি

বাজায় বাঁশি ভালোবাসি

7 mins
2.2K


ছোট্ট নদীটা নুড়ি পাথরের উপর লাফিয়ে লাফিয়ে চা বাগানের বুক চিরে এঁকে বেঁকে চলে গেছে বহুদূর। এক জোড়া বুনো খরগোশের পেছনে ছুটতে ছুটতে আমি এসে পড়েছিলাম ওখানে।পাশের লটকা গাছটায় থোকা থোকা লটকা ঝুলছে।ঢিল মেরে বেশ কিছু লটকা পেড়ে নদীর জলে ধুয়ে খেয়ে দেখলাম খুব মিষ্টি। হঠাৎ পশ্চিম দিক থেকে কালো মেঘ অন্ধকার করে দিল চারপাশ।এখানে এমন হঠাৎ হঠাৎ বৃষ্টি নামে। আমি ছুটতে শুরু করেছি,ঠিক তক্ষুনি দেখতে পেয়েছিলাম তিতিন কে, একটা লেডিস সাইকেল চালিয়ে আসছিল ও, হাওয়ায় ওর ওড়নাটা সাইকেলের চেনে জড়িয়ে ও পড়তে পড়তেই আমি গিয়ে ধরে ফেলেছিলাম।ঠিক তখনি ঘুমটা ভেঙ্গে গেল।


এই মিষ্টি স্বপ্নটা আমি বহুদিন পর আবার দেখলাম। অবশ‍্য তিতিনের সাথে আমার প্রথম দেখাটা কিছুটা এরকমই।


চা বাগানের মাঝে সাইকেলে ওড়না জড়িয়ে দাঁড়িয়েছিল মেয়েটা।পিন করা ওড়নার একটা মাথা এমন ভাবে জড়িয়েছিল যে ওর একার পক্ষে খোলা সম্ভব ছিল না। এদিকে সন্ধ‍্যা নেমে আসছিল চরাচর জুড়ে।পাখির কলতান আর অস্তগামি সূর্যের শেষ রেশ গায়ে মেখে কাঁদো কাঁদো মুখে দাঁড়িয়ে পনেরো ষোলো বছরের অচেনা মেয়েটা সাহায‍্য চেয়েছিল অচেনা কিশোরের কাছে। আমি কখনো কোনো মেয়েকে অত কাছ থেকে দেখিনি।ওর ওড়না যে ভাবে পিন করা তা না খুললে ওকে মুক্ত করা যেত না। ও লজ্জা পেলেও আমাকে সেই কাজটাই করতে হয়েছিল।ওর খোলা চুল বাতাসে উড়ে আমার নাকে লাগছিল,তাতে মন মাতাল করা গন্ধ। ওদিকে ওর টানাটানিতে সেফটিপিন বেঁকে কাপড়ে জড়িয়ে গেছে।আমি ওর চুল সরিয়ে খুলতে যেতেই কেঁপে উঠেছিল ও। ওর অন্তর্বাসের সঙ্গে লাগানো পিন... আমার হাত ঘেমে উঠেছিল।কোনো মেয়ের অন্তর্বাস স্পর্শ করে এভাবে.... ওর গরম নিশ্বাস, লজ্জায় অবনত চোখ,ভীরু কপোতের মত তিরতির করে কাঁপতে থাকা বুক,বুকের ধুকপুক শব্দ,গোধুলীর কনে দেখা আলোয় ওড়না সরে ওর স্তন বিভাজিকা.... মাতাল লাগছিল যেন নিজেকে। কোনো নারীকে এত কাছ থেকে কখনো দেখিনি আমি।


বহু কষ্টে ওর ওড়না খুলতে পারলেও কেউ কারো দিকে চোখ তুলে চাইতে পারছিলাম না। সাইকেল নিয়ে হেঁটেই বেরিয়ে এসেছিলাম দু জনে।চুপচাপ বাকি পথটা পার করেছিলাম। লোকালয়ের কাছে এসে ও বলেছিল ,


"আমি তিতিন, ঐ ছেলেদের স্কুলের হেড সারের মেয়ে।"

"আমি দেব। মামা বাড়ি এসেছি। রেলের স্টেশন মাষ্টার আমার মামা।


'আমি' পরিচয় টুকু দিতেই ও চলে গেছিল।


এরপর ছুটিতে মামা বাড়ি আসাটা বেড়ে গেছিল। কলেজে ভর্তি হলাম মামাদের ওখানে। তিতিনের সাথে যোগাযোগ দৃঢ় হলো। মামাতো বোনটাকে পড়াতে আসতো ও। কত বিকেলে একসাথে চা বাগানে হারিয়ে গেছি,কত অলস দুপুর নদীর জলে পা ডুবিয়ে গল্প করেই কেটেছে। কত সন্ধ‍্যায় চা বাগানের ওপারে নীল পাহাড়ের মাথায় চাঁদ ওঠা দেখেছি একসঙ্গে। পূর্ণিমার রাতে ওকে এগিয়ে দেওয়ার নাম করে সাইকেল নিয়ে শুখা ঝোরার দিকে চলে যেতাম। এই ছোট টাউনে অনেকের চোখে পড়েছিল আমাদের মেলামেশা। কি ভাবে যেন ওর বাবার কানেও গেছিল।আমায় বাড়িতে ডেকে বুঝিয়ে বলেছিলেন আগে নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে তারপর ওঁর মেয়ের সাথে যোগাযোগ করতে। আমারও কলেজ শেষ। হায়ার স্ট‍্যাডির জন‍্য ব‍্যাঙ্গালোর চলে গেছিলাম এরপর। প্রথম প্রথম ফোন, এসএমএস.... তারপর শহুরে ব‍্যস্ততা আর বন্ধুদের পাল্লায় সব যোগাযোগ কমতে শুরু করলো। ভুলেই গেলাম যে ও আমার প্রেমিকা। মামাও বদলী হয়ে আসাম চলে গেছিল। ঐ ছোট্ট টাউনের সাথে যোগাযোগ শেষ হয়ে গেছিল । ততদিনে শহুরে সুন্দরীদের ভিড়ে চোখ ধাঁধিয়ে গেছিল।ওরা কত সহজলভ‍্য, চটকদার।এভাবেই নতুন মোহের টানে কেটে গেছিল দশটা বছর। চাকরী নিয়ে ঘুরেছি অনেক জায়গা।অবশেষে আবার উত্তরবঙ্গ। রেলের একটা বড় কাজ পেয়ে কোম্পানি আমায় পাঠিয়েছিল আবার সেই মালবাজার। এখানে এসে প্রথমে শহরটাকেই চিনতে পারিনি।প্রচুর বদলে গেছে। পুরানো বন্ধুরা সবাই চাকরী নিয়ে বাইরে। দু একজনের সাথে দেখা হলেও লজ্জায় তিতিনের কথা জিজ্ঞেস করিনি।এদিককার মেয়েদের গ্ৰ‍্যাজুয়েশন আর বিয়ে একসাথেই হত। এতদিনে তিতিন হয়তো ঘোর সংসারী। কিন্তু আজকাল বড্ড বেশি মনে পড়ে ওর কথা।একটা অন‍্যায় বোধ কুরে কুরে খায় আমায়। সেদিন ওর বাবার স্কুলটার সামনে দিয়ে আসার সময় মাফলারটা কান মাথায় জড়িয়ে নিয়েছিলাম। কিন্তু ওদের কোয়াটারের সামনের আগাছা দেখে মনে হলো না ওখানে কেউ থাকে।


আমার এক স্টাফের বাড়ি রবিবার নিমন্ত্রন ছিল।ওর ছেলে ঐ স্কুলে পড়ে শুনে একটু খোঁজ নিতেই জানলাম স্যার পাঁচ বছর হলো মারা গেছেন। তিতিনের মা ছিল না। তবে ওর খবর ওরা জানে না।


সারাটা রাত ঘুমোতে পারিনি। সেদিন ও কাস্তের মতো বাঁকা চাঁদ উঠেছিল আকাশে। চোখ বুঝলেই একজোড়া ভীরু চোখ,একটা মিষ্টি মনকাড়া গন্ধ আমায় পাগল করে তুলছিল।শুয়ে শুয়ে মনে পড়ছিল তিতিনের সাথে কাটানো দিন গুলোর কথা। আমার জীবনে ওর পরেও দু জন মেয়ে এসেছিল। চোখ বুঝলেও তাদের কথা মনে পড়ছে না। মুখটাও ভালো করে মনে আসছে না। অথচ দশ বছর আগের প্রতিটা দৃশ‍্য,প্রতিটা মুহূর্ত জীবন্ত।তবে কি মনের গোপন প্রোকষ্ঠে রয়ে গেছিল প্রথম প্রেম!!


ভোর বেলাটা এখানে বড্ড সুন্দর।আমার গেষ্ট হাউসের জানালা দিয়ে দেখা যায় ঢেউ খেলানো চা বাগান, যা গিয়ে মিশে যায় ঐ দূরে নীল পাহাড়ের গায়ে। দূরে নীল আকাশের গায়ে সাদা তুলি দিয়ে আঁকা কাঞ্চনজঙ্ঘা। পাহাড়ী ঝোরাটা গেষ্ট হাউসকে পাক খেয়ে চা বাগানে ঢুকে পড়েছে।এক ঝাঁঁক টিয়া শেড ট্রি গুলোর উপর উড়ে বেরাচ্ছে।মিষ্টি রোদ আর উত্তরে হাওয়ায় মন ভালো করার সুর। একটা সুন্দর সকাল, তবুও আমার মনে একটা বিষন্নতা। আজ তিতিনের খোঁজ করতেই হবে। সকালেই গেলাম এক পরিচিত বইএর দোকানে।এরা বহু পুরানো লোক। স্যারের মৃত‍্যুর পর তিতিন ওর মামাদের কাছে জলপাইগুড়ি চলে গেছিল শুনলাম।


আরো দু জায়গায় একই খবর পেলাম।সোশাল সাইট ঘেঁটেও ওকে পেলাম না। মনটা এক অদ্ভুত বিষন্নতায় ভার হয়েছিল।দু'বার জলপাইগুড়িও ঘুরে এলাম পরের সপ্তাহে। কিন্তু ঠিকানা ছাড়া কোথায় খুঁজবো ওকে। তবে তিতিনের বান্ধবী উৎসার দেখা পেলাম হঠাৎ করেই একদিন।ও বলল তিতিন একটা স্কুলে পড়ায়।একাই থাকে ঘর ভাড়া নিয়ে জলপাইগুড়িতে। ওর সাথে এক বছর আগে দেখা হয়েছিল। আবার ছুটে গিয়েছিলাম সেই স্কুলে। কিন্তু তিতিন ঐ চাকরী ছেড়ে অন‍্য সরকারী স্কুলে চাকরী নিয়ে চলে গেছে কোথাও। ওরা বলতে পারলো না ঠিকানা।অথবা বলতে চাইলো না অচেনা লোকের কাছে।ফোন নম্বর রেখে এসেছিলাম। যদি কোনো খবর পায় জানানোর জন‍্য।


এরপরের দিন গুলো বড়ই বিস্বাদ, মনে হত,কি অমুল‍্য জিনিস হেলায় হারিয়েছি!! কাজের বাইরের সময়টা কাটতে চাইতো না।স্মৃতি বড্ড বেশি কষ্ট দেয় আজকাল।


বাবার জরুরী তলবে মালদা যাবো।নিউ মাল ষ্টেশনে দাঁড়িয়ে ছিলাম। আকাশ ভেঙ্গে বৃষ্টিতে ট্রেন লেট। কত জায়গায় গাছ ভেঙ্গে পড়েছে। অবশেষে ট্রেন এল রাত নটায়।শুনশান ষ্টেশন, ফাঁকা স্লিপার,টিটির দেখা নাই।অবশ‍্য এই ট্রেন এনজিপি থেকে ভর্তি হবে। পুরো কম্পার্টমেন্টে তিনটে ছেলে,এক জোড়া বয়স্ক দম্পতী আর একটা ভদ্র মহিলা।মাল থেকে ট্রেন ছাড়লেও ডামডিমে আবার আটকে গেলো।হাতি বেরিয়েছে শুনলাম।একঘন্টা পর ছাড়তেই ঐ বয়স্ক দম্পতী নেমে গেলো ওদলাবাড়ি। ট্রেন ঘন অন্ধকারে চা বাগান আর পাহাড়ের বুক চিরে ছুটে চলেছে। আমার পরের কূপে তিনটে ছেলে তাস খেলছে,ওদের উল্লাস টের পাচ্ছি। তারপর দুটো কূপ বাদে ভদ্রমহিলা, ওড়নায় মুখ ঢাকা বলে বয়স বোঝা যাচ্ছে না।অবশ‍্য এক ঝলক তাকিয়েছিলাম। বাগরাকোটে এই ছেলেগুলো নামল আর দুটো নেপালী ছেলে উঠে এল। সেবক ব্রিজের আগেই দুটো অন্ধকার টানেল পড়ে। ব্রিজে ওঠার সময় মনে হল মহিলার চিৎকার শুনলাম একবার। আলো কমে এসেছে অথবা কেউ নিভিয়ে দিয়েছে।লাইট জ্বেলে দুটো কুপ পার করে ছুটে গিয়েও মহিলার দেখা পেলাম না। বাথরুমের দিকে ছুটে গিয়ে দেখি ঐ ছেলে দুটো মহিলাকে মুখ চেপে ধরেছে।ওদের একজনের হাতে একটা ছোট ভোজালী চকচক করছে। মেয়েটার করুণ চোখদুটোয় এক আকুল আর্তি, যা দেখে ঝাঁপিয়ে পড়লাম। খেলাধুলায় আমি বরাবর ভালো। বক্সিং শিখেছিলাম একসময়। এক ঘুসিতেই ওদের ভোজালী ছিটকে পড়ল দূরে। একজন এগিয়ে আসতেই দু পায়ের মাঝ বরাবর আমার লাথিতে সে ছিটকে পড়ল।ঠিক জায়গায় লেগেছে। অন‍্য জন ভয় পেয়ে দরজার দিকে ছুটেছে।ট্রেন তখন সেবক স্টেশন পার করে মহানন্দা অভয়ারণ‍্যে প্রবেশ করছে ধীরে ধীরে। ছেলেটা দরজা খুলেই লাফ মেরেছিল। আমি মেয়েটার দিকে তাকিয়ে চমকে উঠলাম।মুখের ওড়না সরে গেছে। দশ বছর সময় থমকে গেছে। তিতিন দাঁড়িয়ে আমার সামনে। ট্রেনের দুলুনিতে আলোটা কাঁপছে, বাইরে ঘুটঘুটে অন্ধকার।আমার এক হাতের মধ‍্যে তিতিন। নিজের অবিন‍্যস্ত বেশবাস ঠিক করে ও নিজের কুপের দিকে হাঁটা দিয়েছে। অন‍্য ছেলেটা যে ভাবে পড়ে রয়েছে ওর জ্ঞান সহসা ফিরবে না জানি। আমি এসে তিতিনের উল্টোদিকে বসলাম। ও জানালা দিয়ে বাইরে চেয়ে রয়েছে।দু চোখে টলটল করছে জল।


আমি আস্তে আস্তে হাঁটু গেড়ে ওর পায়ের কাছে বসতেই ও ছিটকে গেলো। আমি হাত জোর করে বললাম,

"একটা শেষ সুযোগ কি পাবো না? আমি কতদিন ধরে তোমায় খুঁজেছি জানো ?"


" দশ বছর... দশটা বছর, ৩৬৫০ দিন.... আমি অপেক্ষা করেছিলাম।একটা ফোন, একটা ম‍্যাসেজ ... একটা চিঠি .... আমি কি করে কাটিয়েছি কখনো ভেবেছো?"


ওর গলায় এক অদ্ভুত কাঠিন‍্য।


"আমি ভুল করেছি। কিন্তু একটা সুযোগ যদি পেতাম..."


"সব ভুলের ক্ষমা হয় কিন্তু বিশ্বাস ভাঙ্গলে তাকে কি আর বিশ্বাস করা যায়?"


"তুমি ঠিক বলেছো। কিন্তু দ্বিতীয় বার বিশ্বাস ভাঙ্গবো না কথা দিচ্ছি। আমি এখনো তোমায় ভালোবাসি। একটা সুযোগ...."


দূরে আলোর মালায় সেজে ওঠা শিলিগুড়ি শহর দেখা যাচ্ছে, হাজার জোনাকির আলোর মালায় শহর সেজে উঠেছে। তিতিন উঠল, বলল,

"আমায় নামতে হবে। স্টেশন আসছে।"


ও ওর ট্রলিটা নিয়ে গেটের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল । আমার মনে হলো সব হারিয়ে ফেলছি আমি। সব আনন্দ সব খুশি বিদায় নিচ্ছে।শেষ বারের মত গেটের কাছে গিয়ে দাঁঁড়ালো তিতিন।আমিও উঠে এসেছি আমার ব‍্যাগ পিঠে নিয়ে।আমার দিকে ঘুরে শেষ বার কিছু একটা বলতে গেছিল ও। হঠাৎ চিৎকার করে আমায় টেনে নিল নিজের দিকে, আর আমি কিছু বোঝার আগেই সেই নেপালী ছেলেটা ভোজালী নিয়ে হুড়মুড়িয়ে এসে পড়ল বেসিনের উপর,পরক্ষণেই উল্টোদিকের দরজা দিয়ে লাফ দিল।ব‍্যাগটা পিঠে থাকায় আর ঠিক সময় তিতিন টেনে নেওয়ায় ও লক্ষ‍্যভ্রষ্ট হয়েছিল। ট্রেন শিলিগুড়ি জংশনে ঢুকছে বলে গতি খুব কম।আমি তখনো তিতিনের বাহুবন্ধে ।ও কাঁপছে থরথর করে। ওকে শক্ত করে ধরে বললাম ,

"পাগলী, আমি ঠিক আছি। এই দেখো।"


ও একবার তাকিয়েই আমার বুকে মাথা রেখে চোখ বুজলো।


লোক উঠবে। ট্রেন থেমে গেছে। একে এত রাতে ট্রেন ঢুকেছে, তাতে দরজা জুড়ে আমরা, আমি কোনো রকমে ওকে নিয়ে ট্রলি নিয়ে স্টেশনে নামলাম। তিতিন তখনো আমায় আঁকড়ে ধরে রেখেছে। আমিও ভরসার দুহাতে ওকে জড়িয়ে রেখেছি। মনটা আবার আনন্দে খুশিতে ভরে উঠছে। আমি সব ফিরে পেয়েছি। আর হারাবো না। শক্ত করে জড়িয়ে ধরলাম আমার তিতিনকে।ও পরম শান্তিতে মাথা রেখেছে আমার বুকে। ছেড়া ছেড়া মেঘের ফাঁকে পঞ্চমীর চাঁদ উঁকি দিচ্ছে তখন।


আমার পকেটে মোবাইলে বাজছে -"ভালবাসি... ভালবাসি.... এই সুরের কাছে দূরে জলে স্থলে বাজায়...."


(সমাপ্ত)


Rate this content
Log in

Similar bengali story from Romance