অতীত গাথা
অতীত গাথা
©️🔒 Copyright Restricted
.
.
"ও আমার দেশের মাটি
তোমার পরে ঠেকাই মাথা
ও আমার দেশের মাটি
তোমার পরে ঠেকাই মাথা
তোমাতে বিশ্বময়ীর
তোমাতে বিশ্বমায়ের আঁচল পাতা
ও আমার দেশের মাটি
তোমার পরে ঠেকাই মাথা
তুমি মিশেছো মোর দেহের সনে
তুমি মিলেছো মোর প্রাণে মনে
মিশেছো মোর দেহের সনে
তুমি মিলেছো মোর প্রাণে মনে
তোমার ওই শ্যামলবরন
কোমল মূর্তি মর্মে গাঁথা
ও আমার দেশের মাটি
তোমার পরে ঠেকাই মাথা
তোমাতে বিশ্বময়ীর
তোমাতে বিশ্বমায়ের আঁচল পাতা
ও আমার দেশের মাটি
তোমার পরে ঠেকাই মাথা
ওগো মা, তোমার কোলে জনম আমার
মরণ তোমার বুকে
ও মা, তোমার কোলে জনম আমার
মরণ তোমার বুকে
তোমার পরে খেলা আমার দুঃখে সুখে
তুমি অন্ন মুখে তুলে দিলে
তুমি শীতল জলে জুড়াইলে
অন্ন মুখে তুলে দিলে
তুমি শীতল জলে জুড়াইলে
তুমি যে সকল-সহা
সকল-বহা মাতার মাতা
ও আমার দেশের মাটি
তোমার পরে ঠেকাই মাথা
অনেক তোমার খেয়েছি গো
অনেক নিয়েছি মা
ও মা, অনেক তোমার খেয়েছি গো
অনেক নিয়েছি মা
তবু জানি নে যে কী বা
তোমায় দিয়েছি মা
আমার জনম গেল বৃথা কাজে
আমি কাটানু দিন ঘরের মাঝে
জনম গেল বৃথা কাজে
আমি কাটানু দিন ঘরের মাঝে
তুমি বৃথা আমায় শক্তি দিলে শক্তিদাতা
ও আমার দেশের মাটি
তোমার পরে ঠেকাই মাথা
ও আমার দেশের মাটি
তোমার পরে ঠেকাই মাথা
তোমাতে বিশ্বময়ীর
তোমাতে বিশ্বমায়ের আঁচল পাতা
ও আমার দেশের মাটি
তোমার পরে ঠেকাই মাথা"।।
প্রায় কয়েকশো বছর আগের কথা, পাল যুগ, সেন যুগ তখন অতীত। ভারতবর্ষ এসে দাঁড়িয়েছি ইংরেজ শাসনের চৌকাঠে। নবাবী আমল,সুবিশাল মুঘল সাম্রাজ্য ও তখন অতীতের পথে পাড়ি দিতে প্রস্তুত।
ভারতের মাটিতে পা পড়ল পোর্তুগিজদের ৷ ফরাসি, ডাচ রাও গড়ল উপনিবেশ৷ বাণিজ্য সূত্রে ইংরেজরাও এল ৷ কিন্তু তাদের চোখে তখন একরাশ স্বপ্ন ৷
-- " এ স্বর্ণ ভারত ছাড়া যাবেনা ৷ কিছুতেই না।
গড়তে হবে সাম্রাজ্য, হয়ে উঠতে হবে
ভারতের সর্বোসর্বা৷"
এই ভাবেই দীর্ঘ দুই শতক ধরে চলল ইংরেজদের দাপট, চলল দমন- পীড়নের শাসন, চলল অকথ্য,
অসহনীয় অত্যাচার।
অর্থনীতিতে ধরলো পক্ষাঘাত।
দিকে দিকে দুর্ভিক্ষ,মন্বন্তর এ ভারতবর্ষ হয়ে
উঠলো জরাজীর্ণ।
এরই মাঝে ভারতমাতার কোলে লালিত হয়ে উঠছে
তাঁর বীর সন্তানরা।
রবীন্দ্রনাথ, বিবেকানন্দ, সুভাষচন্দ্র, বাঘাযতীন আরো শত শত সন্তানরা এগিয়ে এলো ভারতমাতার রক্ষার্থে।
করো হতে উঠলো অস্ত্র, আবার কেউবা হাতে কলম তুলে মাতার বিপক্ষকে ধরাশায়ী করতে তৎপর।
এগিয়ে এলো মাতার মহীয়সী কন্যারাও।
রনি লক্ষ্মীবাঈ, প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার, মাতাঙ্গীনি র মত বহু নারীরা শত বাধা বিপত্তির সত্ত্বেও , সমাজের কুসংস্কার কে তুচ্ছ করে ইতিহাসের পাতায় নিজেদের নাম খোদাই করে রেখে গেছেন স্বর্ণাক্ষরে।
ধীরে ধীরে গড়ে উঠলো হাজার স্থাপত্য, ভাস্কর্য, রেল, টেলিফোন, বেতার কতকিছু।
একে একে কুসংস্কারের উচ্ছেদ ঘটলো অনেকাংশে ভারতের মত থেকে। গড়ে উঠলো স্কুল, কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়, মাদ্রাসা, গবেষণাগার।
নারীরাও স্কুল চত্বরে পা রাখলো। জনগন হয়ে উঠলো স্বাধীনতার পিয়াসী। দমন- পীড়ন তাদের চোখে কাঁটার মতো বিঁধল।
সাঁওতাল, হুল, নীল -- দিকে দিকে চলতে লাগলো বিদ্রোহ , আন্দোলন ।
ইংরেজ তরফের প্রতিহত করার চেষ্টাও চলতে
লাগলো-- জাতিবিভেদের মাধ্যমে দাঙ্গা বাঁধিয়ে দিয়েও জনগণের স্বাধীনতার তৃষ্ণাকে প্রশমিত করা গেলো না।বরং উত্তরোত্তর তা বেড়েই চলল।
চারিদিকে আগুন জ্বললো। আগুনের লেলিহান শিখা গ্রাস করলো মাঠ -ঘাট -বসতি - খাদ্য- বস্ত্র। মানুষও রেহাই পেলো না তার করল গ্রাস থেকে। রক্তের ধারা স্রোতস্বিনী র ন্যায় বয়ে চলল।
তবু দমানো গেলো না দেশবাসীকে।
চলল অনশন , বয়কট, পিকেটিং -- নানা ইংরেজ বিরোধী ক্রিয়াকলাপ।
অবশেষে বহু রক্তপাত, প্রাণহানি ,আত্মবলিদান, যুদ্ধ, বিদ্রোহ, আন্দোলন ইংরেজ দের থেকে শিকল ছিনিয়ে ভারতমাতাকে স্বাধীনতা দিয়ে গেলো উপহারস্বরপ।
তাঁর পায়ের শিকল ভাঙল।।
জন্ম নিল স্বাধীন ভারতবর্ষ।।
দিনটা 1947 সালের 15 ই আগস্ট ।
তারপর থেকে কেটে গেছে প্রায় পঁচাত্তর টা বছর।
আজ একবিংশ শতাব্দীতে দাঁড়িয়ে
ভারতের অতীত গাথা স্মরণ করলাম।
©️ Restricted
- - - -🧚♀️উহিনী🧚♀️
---------------***********----------------
আমি কোনো অতিপরিচিত সুখ্যাত লেখিকা নই।
এটা একটা ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা মাত্র।।
আশা করি আপনাদের পাশে পাবো।।
কেমন লাগলো অবশ্যই কমেন্টে জানাবেন।।
🌺ধন্যবাদ🌺
