Anamika Debnath

Drama Romance

3  

Anamika Debnath

Drama Romance

অনপেখিত

অনপেখিত

7 mins
388



  পর্ব-৬


উজানও উঠে দাঁড়ায়, ও ধৃতির যেকোনো উত্তরের জন্য মনে মনে প্রস্তুত۔۔۔


উজান: বলো۔۔۔


ধৃতি: আজ বলবোনা. কাল বিজয়া হলে, মা কে বরন করার পর আপনার সাথে এখানেই দেখা করবো. আমার কথাগুলো শোনার পর যদি আপনার মনোভাব না বদলায় তখন না হয় ভাবা যাবে. ততক্ষন পর্যন্ত এই আলোচনা স্থগিত থাক۔۔


ধৃতি চলে যায়. আজ ধৃতির ব্যবহার খুব অদ্ভুত লাগে উজানের. তবে কি ও উজানের সাথে জীবনের বাকি পথটুকু চলতে চায় না? হতে পারে. উজানের মতো রাগী, গম্ভীর মানুষ হয়তো ওর পছন্দ না. কি করবে উজান যদি ধৃতি ওকে অস্বীকার করে? জীবনে প্রথম কারোর প্রতি উজানের এই অনুভূতি হয়েছে যা ওর কাছে হঠাৎ, আকস্মিক۔۔۔۔۔অনপেখিত. হ্যাঁ মানছে উজান, ও খুব তাড়াতাড়িই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কিন্তু ও নিজের কাছে স্বচ্ছ. তবে প্রশ্ন হলো ধৃতি এতো তাড়াতাড়ি কি সিদ্ধান্ত নিতে পারবে? যদি ধৃতি সময় চায় উজান অপেক্ষা করতে রাজি আছে۔۔


পাঁচ কথা ভাবতে ভাবতে উজান ফ্ল্যাটে পৌঁছোয়. ভাবে অন্তরীক্ষকে একবার সবটা জানাবে. ফোনটা খুলেই দেখে বেশ কয়েকটা নোটিফিকেশন. একে একে নোটিফিকেশনগুলো ওপেন করে চেক করতে থাকে. একটা নোটিফিকেশন ওপেন করতেই উজানের পৃথিবীটা দুলে ওঠে. স্তব্ধ হয়ে তাকিয়ে থাকে ফোনের দিকে. দ্রুত কিছু একটা চেক করে, তারপর ফোনটা বিছানায় ছুড়ে ফেলে দুহাতে মাথার চুলগুলো খামছে ধরে. গত দুদিন যে রাগ, বিরক্তি গুলো দূরে সরে গিয়েছিলো, সেগুলো হঠাৎ করে চতুর্গুণ পরিমানে ভিড় করে উজানের মাথায়. বুকের মধ্যে যে ঝড় উঠেছে সেটা উজানকে প্রতিনিয়ত ভাঙছে আবার গড়ছে. কিছুক্ষন প্রবল আলোড়ন চলে উজানের মধ্যে, তারপর কালের নিয়মেই এক সময় সব শান্ত হয়. উজান ব্যালকনিতে গিয়ে দাঁড়ায়. এখানে আসা থেকে একটু আগে পর্যন্ত ধৃতির সাথে থাকা۔۔۔۔۔সব কিছু একের পর এক স্মৃতির পর্দায় ফুটে উঠতে থাকে. একটু ঠান্ডা হলে উজানের মন নিজের সাথেই নিজে এই আলোচনায় মত্ত হয় "কেন"? সারারাত কিভাবে পার হয়ে যায় বুঝতেও পারেনা উজান. কখন যে বিছানায় এসে ঘুমিয়ে পড়েছে সেটাও হয়তো ও জানেনা۔۔۔


দশমীর সকাল হয়. আবার সেই পুরোনো উজান ফিরে এসেছে. ওর ব্যবহারই জানান দিচ্ছে যে ওকে না ঘাঁটানোই ভালো আজ. বাসবী, সমরেশ, ঠাম্মিরা জিনি আর অন্তরীক্ষর দৌলতে সব খবরই পেয়েছে, তারাও বেশ খুশি উজানের জন্য. কিন্তু হঠাৎ কেন এই ছন্দপতন সেটা কেউই বুঝতে পারেনা. আজ উজান একবারও রুমের বাইরে বেরোয়নি. ও অপেক্ষা করতে থাকে সন্ধ্যে হওয়ার, মুখোমুখি হতে হবে ওকে অনেক কিছুর۔۔


মায়ের বরণ শুরু হয়. উজান এবার সোজা মণ্ডপে হাজির হয়. একটু খুঁজতেই ধৃতিকে দেখতে পায় ও. কিন্তু ধৃতিকে দেখে উজান চমকে ওঠে, কি চেহারা হয়েছে এই এক রাতে. কেঁদে কেঁদে চোখ মুখের কি অবস্থা করেছে. মনে হচ্ছে খাইওনি, মুখটা কেমন যেন শুকনো মনে হচ্ছে. মা কে বরণ করতে গিয়ে ধৃতি একটু টোলে গেলো বলে মনে হলো উজানের. কি যে করে না মেয়েটা, ভীষণ রকম বিরক্তি নিয়ে ধৃতির দিকে তাকিয়ে থাকে উজান. একসময় সব শেষ হবার পর ধৃতির দৃষ্টি পড়ে উজানের উপর. এক অজানা আশংকায় কেঁপে ওঠে ধৃতি. ধীর পায়ে ওখান থেকে বেরিয়ে আসে ধৃতি, উজানও অনুসরণ করে ওকে. পূর্ব নির্ধারিত স্থানে এসে পৌঁছোয় দুজনে. একে ওপরের মুখোমুখি হয় ওরা۔۔ 


ধৃতি কান্নাভেজা চোখে প্রশ্ন করে উজানকে۔۔۔


ধৃতি: কি চেহারা করেছেন নিজের?


উজান কঠিন গলায় উত্তর দেয়: আমাকে ছাড়ো, নিজেকে দেখো۔۔


উজানের দেহভঙ্গি ধৃতিকে জানান দেয় আসন্ন ঝড় উপস্থিত. কিছুক্ষন উজানের চোখের দিকে গভীর দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকার পর ধৃতি চোখ নামিয়ে নেয়۔۔


ধৃতি: আপনি তো সবই জেনে গেছেন۔۔۔۔۔তাই না?


উজান: কেন?


ধৃতি: কি করতাম? এ ছাড়া কি উপায় ছিল আমার কাছে?


উজান: এটা কোনো যুক্তি হতে পারেনা۔۔


ধৃতি: আপনার মতে হয়তো হতে পারেনা, কিন্তু এটাই যুক্তি۔۔


উজান: এতো বড় প্রতারণা?


ধৃতি: এই ভাবে বলবেন না প্লিজ۔۔


উজান: তাহলে কিভাবে বলবো?


ধৃতি: ভাবুনতো একবার আমার জায়গায় যদি আপনি হতেন কি করতেন?


উজান: মিথ্যে বলতাম না۔۔


ধৃতি: আমিও কিন্তু মিথ্যে বলিনি?


উজান: বলো নি?


ধৃতি দৃঢ়তার সাথে: একেবারেই না. হ্যাঁ এটা বলতে পারেন যে সত্য কিছুটা গোপন করেছি. কিন্তু মিথ্যে আমি বলিনি۔۔


উজান: মানে বলতে চাইছো ধৃতি আর হিয়া এক?


ধৃতি: হুম۔۔


উজান ভ্রু কুঁচকে তাকিয়ে থাকে হিয়ার দিকে۔۔


(এবার ধৃতির পরিবর্তে হিয়া লিখছি)


হিয়া: আমার অফিসিয়াল পেপার এ নাম ধৃতি মিত্র. কিন্তু হিয়া বলেই আমি এখানে পরিচিত۔۔


উজান: আর ওই যে আরেক জন, যাকে হিয়া সাজিয়ে এনেছিলে আমার সামনে?


হিয়া: হিয়া নামের উপর কি আমার একার কপিরাইট আছে নাকি? আর কারোর নাম হিয়া হতে পারেনা? ওখানেও আমি কোনো মিথ্যে বলিনি۔۔


উজান: এভরিথিং ওয়াজ প্ল্যানড۔۔۔রাইট?


হিয়া এবার বিরক্ত হয় : আচ্ছা লোক তো মশাই 

আপনি. সেদিন কি আমি জানতাম যে আপনি আমার কাছে আসবেন? নাকি জানতাম আপনি আমার সাথে বড় বাজারে যেতে চাইবেন? নাকি জানতাম অষ্টমীর ভোরে আমি যখন বেরোবো তখন আপনি আসবেন আর আমার সাথে যাবেন? নাকি জানতাম আপনি আমাদের সেই মুহূর্তটা আপনার তুলির টানে বন্দি করবেন? নাকি জানতাম আমার উপোস নিয়ে আপনি এতটা সংবেদনশীল হয়ে উঠবেন? নাকি জানতাম গতকাল আপনি আমায় ওরকম কিছু বলবেন?۔۔۔۔۔ কি কি জানতাম বলে আপনার মনে হয়, যার জন্য আপনার সব কিছু প্ল্যানড বলে মনে হলো?


উজান: তাহলে কেন?


হিয়া: কি করতাম? আমার সামনে আপনি আমার নামেই গুচ্ছ কমপ্লেন করলেন আমাকে না চিনে. আমি যদি জানতে চাই তার কারণ কি নিজেকে প্রকাশ না করে, তাহলে কি খুব অন্যায় করেছি? আপনার বিরক্তি আমার শুধু বিরক্তি মনে হয়নি, মনে হয়েছিল আপনি হিয়াকে ঘৃণা করেন. তাই আমি জানতে চেয়েছিলাম কারন কি তার পেছনে. তাছাড়া আর একটা কারণ হলো আপনি আজ এতো বছর পর পুজোয় কলকাতায় এলেন, অথচ কে কোন হিয়া তার জন্য আপনার সব আনন্দ নষ্ট হচ্ছে. আর শুধু আপনারই নয়,আপনার আসে পাশের আপনজনদেরও. আমি সেটা নষ্ট হতে দিতে চাইনি. (একটু থেমে) এটাই সম্পূর্ণ সত্যি. এবার আপনি দেখুন আমাকে ক্ষমা করতে পারবেন কিনা. আমি জানি, সত্যিটা জানার পর আপনার উপর দিয়ে অনেক ঝড় বয়ে গেছে, আপনার চেহারায় তার প্রমান দেখতে পাচ্ছি. কিন্তু বিশ্বাস করুন কোনো স্বার্থসিদ্ধি বা প্রতারণার উদ্দেশ্যে কিছু করিনি۔۔


উজান: তোমার মনে হয় সব কিছু আগের মতো হয়ে যাবে?


হিয়া কাঁপা কাঁপা গলায় বলে: জানি হবেনা. আজকের পর আমি আর আপনার সামনেও আসবোনা۔۔


উজান: আমি এবার গেলে আবার পরের বছর আসবো, তাও পুজোতে আর হয়তো ছুটি পাব না. তুমি নিশ্চিন্তে থাকতে পারো, তোমার আনন্দে কোনো ব্যাঘাত ঘটবেনা۔۔


হিয়া ব্যথিত গলায় বলে: আপনি আমায় ভুল ভাবছেন. আচ্ছা একবার কি ক্ষমা করা যেতোনা আমায়? 


কুছুক্ষন নীরবে উজানের দিকে চেয়ে থেকে উজানের না বলা কথাগুলো পড়ার চেষ্টা করে হিয়া. তারপর দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলে۔۔


হিয়া: ঠিক আছে, একটা প্রণাম করতে দিন অন্তত. আপনি তো বড়, বিজয়ার প্রণাম তো করতেই পারি, নাকি সেটাও নেবেন না?


উজান:۔۔۔۔۔


হিয়া উজানকে কিছু বলতে না দেখে সাহসে ভর করে এগিয়ে এসে একটা প্রণাম করে. উজান কিছু বলেনা হিয়াকে. প্রণাম করা হয়ে গেলে হিয়া বলে۔۔


হিয়া: একটা শেষ প্রশ্ন করবো?


উজান: আমি কি করে জানলাম?


হিয়া মাথা নেড়ে "হ্যাঁ" বলে۔۔


উজান: কাল তোমার নম্বর চেয়েছিলাম জিনির কাছে. ও একটা নম্বর তখনই দিয়েছিলো, তবে তোমার আরেকটা নম্বর আমাকে হোয়াটস অ্যাপ করে. কাল তোমার কাছ থেকে ফিরে চেক করতে গিয়ে দেখি জিনি তোমার নম্বর হিয়া বলে পাঠিয়েছে۔۔


হিয়া মাথা নীচু করে বলে: ও۔۔۔۔বুঝলাম۔۔۔۔۔ঠিক আছে, আসি তাহলে? ভালো থাকবেন۔۔


হিয়া যেতে উদ্যত হলে উজানের কথায় দাঁড়িয়ে পরে ۔۔


উজান: Delhi AIIMS এ পড়ছো?


হিয়া বুঝতে পারেনা উজান কি বলতে চাইছে. ভয়ে ভয়ে মাথা নেড়ে "হ্যাঁ" বলে۔۔


উজান: কোন ইয়ার?


হিয়া: থার্ড


উজান: হুম, মানে এখনো অলমোস্ট দুবছর তোমার MBBS কমপ্লিট করতে۔۔۔তাই তো?


হিয়া: হ্যাঁ۔۔


উজান: জানি তুমি ব্রিলিয়ান্ট স্টুডেন্ট, তাও বলছি. মন দিয়ে পড়াশোনা কোরো, শুধু আমার ধ্যান করোনা. আমি সামনের বছর আসবোনা. একেবারে দুবছর পরই আসবো۔۔


হিয়া এখনো অনুধাবন করে উঠতে পারেনি উজানের কথার অর্থ. ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে থাকে উজানের দিকে۔۔


উজান: এই দু'বছরে আশা করি পড়াশোনার ফাঁকে কিছুটা সময় পাবে এটা ভেবে দেখার জন্য যে আমার সাথে জীবনের বাকি দিনগুলো চলতে পারবে কিনা. যদি মনে হয় পারবে তাহলে দুবছর পর পুজোয় দেখা হবে আবার এখানে, এই জায়গায়. আর যদি না মনে হয়۔۔۔۔۔۔


উজানকে কথা শেষ করতে দেয় না হিয়া. ও উচ্ছসিত হয়ে ওঠে۔۔


হিয়া : আপনার ফোনের ক্যালেন্ডার টা খুলুন তো. দেখুন তো নেক্সট টু নেক্সট ইয়ার পুজো কবে পড়ছে?


উজান: ধৃতি۔۔۔۔۔হিয়া۔۔۔


হিয়া: আপনি বরং একটা আলাদা নাম দিন. এই ধৃতি, হিয়া۔۔۔۔۔۔۔এগুলো না হয় বাকিদের জন্য থাক۔۔۔


উজান: ইডিয়ট


হিয়া এক গাল হেসে : এটাও চলবে۔۔


উজান: তোমার কিছু সময় নেওয়া উচিৎ ভাবার জন্য. এটা দুদিনের পার্টনারশিপ না. পরে যদি মনে হয় ভুল করে ফেলেছো, তাহলে বুঝতে পারছো তো আমাকে কোন পরিস্থিতিতে ফেলবে? তাছাড়া জানোতো আমি কতদূরে থাকি. Long distance relationship is not a easy matter. চাইলেই দেখা করতে পারবেনা. কথা হবে, কিন্তু লিমিটেড. পারবে তো মেনটেন করতে? 


হিয়া: এটা তো আপনার ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য۔۔۔۔۔নয় কি?


উজান: আমি অনেক ভেবেই সিদ্ধান্ত নিয়েছি۔۔۔


হিয়া: আমিও۔۔۔


উজান: তাছাড়া মাত্র তো দু'বছরের ব্যাপার۔۔


হিয়া: দু'বছর?


উজান: সারাজীবন এই ভাবেই কাটাতে চাও নাকি? পরের পড়াশোনা USA তেই করবে না হয়. তার প্রিপারেশন ও এখন থেকেই নিতে থাকো. এন্ট্রান্স এক্সাম কিন্তু টাফ হয় ওখানকার. আর একটা কথা۔۔۔۔۔আর কোনোদিন কোনো পরিস্থিতিতেই এই ধরণের কিছু যেন না ঘটে۔۔۔


হিয়া: হবেনা, পাক্কা প্রমিস. (একটু থেমে বলে) জানেন আমি খুব ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম. ভেবেছিলাম হারিয়ে ফেললাম আপনাকে সারাজীবনের জন্য. এই কয়েকদিনে কি করে এই গোমড়া, রাগি মানুষটা এতো আপন হয়ে গেলো বুঝতেই পারিনি۔۔


উজান: তাই কি সারারাত ধরে কান্নাকাটি করেছিলে? 


হিয়া মাথা নিচু করে বলে: কি করবো? চোখের সামনে সব কিছু ভাঙতে দেখছিলাম যে۔۔


উজান বোঝে হিয়ার এই ব্যাকুলতার গভীরতা. ও নিজেও গতকাল রাত্রে একই যন্ত্রনায় বিদ্ধ হয়েছিল বারং বার. 


হিয়া: একটা কথা জিজ্ঞাসা করার ছিলো۔۔


উজান: কি?


হিয়া: আপনাকে কি বলে ডাকবো? উজান দা নাকি ডা: চ্যাটার্জী?


উজান কিছুক্ষন হিয়াকে স্থির দৃষ্টিতে দেখে, তারপর হিয়ার একটু কাছে সরে এসে বেশ নীচু গলায় বলে۔۔۔


উজান: আমার নামটা তোমার মুখে শোনার অপেক্ষায় থাকলাম, সাথে "আপনি"র জায়গায় "তুমি"۔۔۔


এতক্ষন যে হিয়া উজানের সামনে সহজ স্বাভাবিক ভাবে কথা বলছিলো, উজানের এই কথা শুনে সে হঠাৎই রাঙা হয়ে ওঠে. শরীরের সমস্ত রক্তবিন্দু মুখে এসে আছড়ে পড়ে মুহুর্তে. মাথাটা একটু নামিয়ে হিয়াও ততোধিক নীচু গলায় বলে ۔۔۔


হিয়া: দুবছর অপেক্ষা করতে পারবোনা. সামনের বছর আসবে তো? আমি তোমার অপেক্ষায় থাকবো উজান۔۔۔


হিয়ার এই নতুন রূপ উজানের কাছে বয়ে আনে তাদের সম্পর্কের সফল রূপান্তরণের বার্তা. একটু ইতস্ততার পর উজান হিয়ার আঙুলে আঙ্গুল জড়িয়ে নেয়. হিয়া লজ্জায় আরো একটু কুঁকড়ে যায় জীবনের প্রথম ভালোবাসার প্রথম স্পর্শে۔۔


উজান: আসবো. তবে পুজোতে না পারলেও X-Mass এ আসবো. জানিয়ে দেব, তুমি অপেক্ষা কোরো۔۔۔


একটু থেমে উজান বলে۔۔۔


উজান: যাবে নাকি আমার সাথে চা খেতে? একটু দূরে রাস্তার পাশে একটা ছোট ঝোপড়া আছে. দারুন লেবুচা বানায়. এই সামনে, হেঁটে যেতে পাঁচ মিনিট লাগবে۔۔


হিয়া কয়েক সেকেন্ড উজানের দিকে বড় বড় চোখ করে তাকিয়ে থাকে. তারপর দুজনেই একসাথে হেসে ওঠে۔۔۔۔


দূর থেকে ভেসে আসে۔۔۔۔۔۔ বলো দুৰ্গা মাঈ কি۔۔۔ জয়۔۔۔


(সমাপ্ত)


Rate this content
Log in

Similar bengali story from Drama