আমি সাগরের বেলা 7
আমি সাগরের বেলা 7
“আরে আরে... কোথায় চললে?”
“সে বিষয়ে আপনাকে মাথা ঘামাতে হবে না। আত্মহত্যা করতে যাচ্ছি না, কথা দিলাম।“
“তা বেশ। কিন্তু আমার জামা কাপড় গুলো...?”
শুভদীপ আমার দিকে এক মুহূর্তের জন্য একটা ঘ্রিনাভরা দৃষ্টি নিক্ষেপ করে আমার দেওা কাপড় জামা গুলো বিদ্যুৎবেগে খুলতে আরম্ভ করল।
“আরে আরে... থামো!” আমি ওর হাত ধরে ওকে থামালাম, “পাগল হলে নাকি?”
“কোনও সন্দেহ?”
আমি গলা নরম করে বললাম এবার, “দেখ... আমি একটু রসিকতা করে ফেলেছি বলে রাগ কোরও না। তুমি আমার ভাই এর মত। তোমার ওপর দিয়ে আজ জা গেছে, তা আমি বুঝি। এই অবস্থায় তোমাকে একা ছেড়ে দিতে আমি পারব না। আজ রাতটা না হয় এখানে কাটিয়ে দাও কষ্ট করে। কাল চলে যেও।“
শুভদীপ তখনও ইতস্তত করছে দেখে ব্রমহাস্ত্র টা ছেড়েই দিলাম।
“বড় দাদার অনুরোধ মনে করে অন্তত থেকে যাও।“
শুভদীপ আস্তে আস্তে গিয়ে আবার চেয়ারটায় বসলো। যাক! ইমোশনাল ব্ল্যাকমেলের এখনও তেমন প্রতিরোধ নেই বাজারে। শুবদীপের দিকে তাকাতেই মায়া লাগলো হঠাৎ। এত কম বয়সে জীবনসঙ্গিনী কে হারানোটা সত্যই খুবই কষ্টকর। নিজের স্ত্রী এর কথা মনে পড়ে গেলো হঠাৎ। মনটা যেন কেমন করে উঠল। আস্তে করে ঘরের বাইরে গিয়ে একটা ফোন করেই ফেললাম। উল্টো দিক থেকে উচ্ছ্বসিত কণ্ঠেই জবাব এলো,
“বল!”
“না এমনই... তোমরা কি করছ?”
“কি আবার! ঘণ্টুর অঙ্কের খাতা নিয়ে বসে আছি! তোমার ছেলে যা হয়েছে, একটা অঙ্কও ঠিক নেই... এদিকে সারা বাড়ি দাপিয়ে বেড়াচ্ছে!”
“আচ্ছা। সাবধানে থেকো।“
“বাবা! কোন দিকে সূর্য উঠল আজ?”
“ঠিক আছে। আমি কাল দুপুরের ট্রেন এই ফিরে আসবো।“
“রাতে বেশি দেরি করে জেগো না। আর প্রেশারের অসুধটা খেয়ে নিয়ো।“
“হুম। রাখছি।“
ফোন রেখে যখন ঘরে ঢুকলাম, শুভদীপকে আর চেয়ারে দেখতে পেলাম না। মাটিতে মেঝের সাথে মিশে গিয়ে সে ডুকরে ডুকরে কাঁদছে...
TO BE CONTD...