যৌবনে মদমত্ত
যৌবনে মদমত্ত
বেলিয়াতোড়, গঙ্গাজলঘাঁটি, কিংবা পাথরমোড়া,
যখন তখন যৌবনমদে মত্ত হাতিরা যে জাগায় সাড়া।
মাকনা হাতিরা যথেষ্ট শান্ত, থাকে দলের ভেতরেই,
দাঁতালেরাই ইচ্ছে মতো ওদের মেজাজ বিগড়োয়,
মদ না খেয়েও প্রকৃতির নিয়মেই ওরা যে মাতাল হয়।
তান্ডব মাচায় আগে পিছে না ভেবে, কিছু করার নেই,
দায়ী ওদের কানের সামনে থাকা ঐ মস্তগ্রন্হিই,
তা থেকে যে মদস্রাব নির্গত হয় ওদের যৌবন এলেই।
যদিও হাতিদের দিদিমা বা ঠাকুমাই ওদের দলনেত্রী,
পুরুষ হাতি দল ছেড়ে চলে যায় একটু বড় হতেই ।
যৌবনমদে মত্ত হাতি পরোয়া করেনা তো কারোরই,
হয়তো মনে মনে দলনেত্রীকে ভাবে বুড়ি থুত্থুরি !
নতুন সঙ্গিনী খুঁজে নিয়ে নতুন দলে কখনও ঢোকে,
অথবা হাতি জুটিয়ে দলপতি বানাতে চায় নিজেকে।
মাকনা হাতিরা যেন অনেকটা হাতিদের ঘরজামাই,
কারো সাথেই ওদের শত্রুতা নেই, ভাব গলায় গলায়।
বাইশ মাস মায়ের পেটে থেকে মাথায় বেশ বুদ্ধি ধরে,
মাতাল হলে কি আর তার আগের কথা মনে পড়ে !
যৌবন ধরে রাখতে হাতিদের দাঁত পড়ে ছয় বার,
নতুন কষদাঁত বের হয় জীবনে ষাট বছরে আবার !
বাঁকুড়া, ঝাড়খন্ড অথবা ছত্তিশগড় কিংবা বর্ধমান,
দাঁতাল, মাতাল যে হাতিই হোক পায় ঠাকুরের মান।
পরীক্ষা দিতে যাবার আগে ছাত্র-ছাত্রী করে নমস্কার,
মনে মনে বলে রাস্তায় যেন দেখা না পাই তোমার !
হুলা পার্টির জওয়ান ভাইয়েরা বনদপ্তরের সহায়তায়,
মশাল আর হুলা দিয়ে যে পথের হাতিদের তাড়ায়।
শোনা গেছে এই কাজের জন্যে অনেক দূর দূর থেকে,
রামেশ্বর হাঁসদাকে নেতা বলে হায়ার করে নিয়ে যায়।

