উল্টো-পাল্টা
উল্টো-পাল্টা
আচ্ছা যদি এমন হতো - সূর্য উঠত রাতে!
চাঁদমামা তার হাসিখানি নিয়ে ধরা দিতো এসে হাতে!
মাছগুলো সব জল থেকে উঠে ডাঙাতেই হেঁটে চলতো -
পাতাদের সাথে আলাপ জমিয়ে মনের কথাটা বলতো!
পাখির ডানাটা আঁকড়ে জড়িয়ে আকাশেতে ওড়া যেত,
সাদা মেঘ হত বরফের গোলা, উফ! চেটেপুটে সবে খেতো,
ফুলের পাপড়ি গলাটা জড়িয়ে রংটা মাখাতো গালে -
রাশি রাশি খুশি এসে ধরা দিতো জেলেদের ফেলা জালে!
হিংসা-বিষাদ হাওয়াতে উড়িয়ে ঘুড়ি কেটে যেত জোরে,
কাশফুল এসে কড়া নেড়ে যেত গ্রীষ্ম-শীতের ভোরে,
"color: rgb(0, 0, 0);">পুষ্পকে চড়ে নানা দেশ ঘুরে বিকেলেতে ফিরে বাড়ি -
ফের ঠাম্মি দাদুর রূপকথায় সব - রাত্রে জমাতো পাড়ি!
কিশলয় আর সহজপাঠেতে মনটা থাকতো ভুলে,
অংকে জমিয়ে ভুল করলেও প্রথম হওয়া যেত স্কুলে,
রাক্ষসের দল ভোররাতে এসে লুডো খেলে যেত সাথে -
ওদের সাথেই হাসি কেনা যেতো - কোন গ্রামবাংলার হাটে!
সত্যিই এগুলো সত্যি হলে বড়ো হতে হতো নাকো আর,
থাকা যেত বাবা মায়ের আদরে - মনের কমত ভার,
তবু এগুলো ভেবেই এগিয়ে চলার শক্তি যে আরো পাই,
মনটা আবার বড়ো হয় নাকি - থাকে তো সে বাচ্চাই।