রাখির ওপারে
রাখির ওপারে
মনটা খারাপ করে বসে আছে ঈশানি,
ভাইটা তার আসবে বলেছিল আজ,
সময়ের ব্যাপারেও বড্ড পাংচুয়াল সে -
তবে পড়ে গেল নাকি বড়সড় কোন কাজ?
সময়টা ওদিকে পেরিয়ে যাচ্ছে ছুটে,
জানেনা ছেলেটা! দিদিটা না খেয়ে আছে বসে!
আসুক একবার! রাখি-টাকে আগে শক্ত করে বেঁধে -
তারপর মিষ্টি খাইয়েই হনুমানটাকে কানমলা দেবো কষে।
কান্ড দেখেছো! এখনো এলো না!
পাঁচ মিনিট আর বাকি!
তবে এত দেরি তো করে না ও কোনদিন -
মনটা কেমন কু ডাকছে - কোন বিপদ হলো নাকি?
ঐতো বেজেছে দরজার বেল,
ভাই! একটু দাঁড়া, আমি আসছি!
অনিমেষটাকেও আজকে অফিসে যেতে হলো,
ভয়টা তবে অমূলকই ছিল - এইতো! আবার আমি হাসছি।
আয় বাবু! আয় এইখানে বোস -
আচ্ছা! এত দেরী কেউ করে?
ফোঁটাটা দিই আগে - মাথাটা নামা,
তারপর রাখিটা পড়াচ্ছি পরে।
হ্যাঁরে বাবু! তোর চোখ দুটো এত লাল হয়েছে কেন?
মনে হচ্ছে যেন কেঁদেছিস অঝোর ঝরে!
হাতখানা-ও কেমন বরফের মত ঠান্ডা!
জ্বর এলো নাকি - যা গিয়ে শুয়ে পর একটু ঘরে।
ওই যে আবার বেলটা বাজছে,
অনিমেষই হবে হয়তো,
আমি ডাক্তার ডেকে আনতে বলছি -
কোথাও যাবি না! শরীরটা আরো খারাপ হয়ে যাবে নয়তো।
একি অনিমেষ! তুমি কাঁদছো কেন?
কি হয়েছে সেটা তো বলো!
শুভ? শুভর আবার কি হয়েছে?
ও তো ঘরেই রয়েছে - চলো! নিজেই দেখবে চলো!
ভাই! এই ভাই! কোথায় গেলি তুই?
একবার বেরিয়ে আয় তো দেখি!
অনিমেষ বলছে তুই নাকি বেঁচে নেই আর!
ওর মাথাখানা খারাপ হয়ে গেলো নাকি?
অনিমেষ! তুমি বিশ্বাস করো!
শুভ এসেছিল আমার কাছে!
তবে রাখিটা পরাতেই বলেছিল হেসে -
"দিদিরে! ছাড় এবারে, যাবার সময় হয়ে গেছে।"