উড়ো খবর
উড়ো খবর
আমার যদি থাকতো একটা নিজস্ব জিনি,
আলাদীনের সেই প্রদীপ, আমি তাকে নাই বা চিনি।
অ আ ক খ এসব অক্ষর পড়তে তখনো শিখিনি,
অথচ শুনে ফেলেছি, আরব্য রজনীর কিছু কাহিনী।
গুঁড়ো গুঁড়ো নানান রকম আকৃতির ছবি সাজানো,
ফুরফুরে পাতলা, নিশ্চয়ই তা যায় আকাশে ওড়ানো !
কালিম যদি আকাশে উড়তে পারে, এটা নয় কেন ?
মানুষের কোলে উঠে সত্যিই একটুও মজা নেই,
পাখির কিংবা পরীদের মতো ওদের তো ডানা নেই!
বাবা যদিও দেয় মাঝে মাঝে একটু আকাশে ছুঁড়ে,
কেন যেন আবার নেমে আসতে হয় বাবার কোলেই!
গাছ থেকে ফুল, ফল, পাতা যেমন নিচে পড়ে যায়,
তেমন আমিও ওপর থেকে নিচেই পড়ি সবসময়।
কিন্তু কেন? কেন? কেন? এই প্রশ্নটা হয় মনে উদয়,
তখন কি আর জানি মাধ্যাকর্ষণ, নিউটন মহাশয় !
খুব কষ্ট করে লেখা পড়া একটু শিখে নিয়েই তাই,
খবরের কাগজের ঠোঙা পড়তে শিখে যাই একাই ।
আমি যে অনেক, অনেক কিছু জানতে চাই, সর্বদাই,
বড়দের খবরের কাগজ আমার নাগালের বাইরেই ।
যেদিন "উড়ো খবর" কথাটা প্রথম কানে এলো,
কথাটার মানে যে গুজব, মা তো তাই বোঝালো।
শব্দটা একেবারে আমার কল্পনার সাথে মিলে গেল !
খবরের কাগজে চড়ে, চলেছি উড়ে দেশে বিদেশে,
সবাই ডাকছে, নিচে নামতে বলছে তারা ভালোবেসে।
অবশ্য দেশের সীমানা বলে কিছু থাকে তা জানিনা,
রাজা রানীদের নিয়ম কানুনও আমি কিছু মানিনা।
আছে আমার, মাথার ওপরের আকাশের অধিকার,
অচেনা সব জায়গাতেই যাবো তো নিশ্চয়ই, অবশ্যই,
সব যায়গা, মানুষ, গাছপালা, সব প্রানী দেখে নেবই।