অপরিচিত
অপরিচিত
ঈশ্বর ভাবছেন এইবার ঘুরে এলে হয় জেনিভা
এইবার শান্তি পাওয়া যাবে। ব্যস ওখানে পৌছানো যেটুকু বাকি।
বিগত আঠাশ বছরে লাঙল প্রচুর ধরা হল।
সেইসব চষে ফেলা মাঠের সাথে সেলফি তুলে উদ্দামতা
সব সদ্যপক্ক ধানের স্বাদ তুলে নিয়েছেন ঈশ্বর মেনুকার্ডে।
এখন ঈশ্বরীর সাথে কথা বন্ধ। রবীন্দ্রনাথ নিয়ে তুমুল তর্ক রাতে।
সকাল হতেই ঈশ্বর বেরলেন জেনিভার দিকে। শান্তি ওখানেই।
তবে কিনা ঈশ্বর তো একজন নন। বাকিরা গলির মোড়ে জমায়েত।
এই যাঃ। দরখাস্ত পেশ হল না ঈশ্বরীর কাছে। নীল খামে কিছু টাকা।
থাক। পাসপোর্টে ছাপ লাগে না। দাগ লাগে না দৈনন্দিন আইন জারিতে।
তেষ্টা পেলে ঠোঁটের সামনে জল আর খিদে পেলেও উল্টোটা নয়।
ঈশ্বরের শ্রান্তিতে ঘাম নেই। কব্জির উপশিরা মোলায়েম থাকে।
থাক, ঈশ্বর জেনিভার আকাশে বিরাজ করুন। শান্তি ওখানেই।
আর ভাষাপ্রান্তরে ঘাসের কাছাকাছি এক প্রেমিক।
ঈশ্বরকে বোঝাবার দায় নেই তার। একটা কবিতাই যথেষ্ট।