ঠোঁটকাটা
ঠোঁটকাটা
সত্যি! সত্যি! সত্যি! কোথায় পাবো
সেই খোঁজে মিথ্যা হয়ে পড়ে এ জীবন,
মোহো, ভালোবাসার নিষ্ঠুর বিনিময় করবো
পেলে শত ব্যথা দেহ থেকে প্রাণ ত্যাগ হলে হবে মরণ।
বেড়াজালে জড়িয়ে থাকা প্রাঙ্গণ করলে খালি
সব প্রাণ একদিন যাবে চলে অন্য দরবারে,
প্রতিজ্ঞা করো হে মিথ্যা রে করিব মালি
সেই মালি সত্যের আহ্বানে দাঁড়াবে পথের ধারে।
তৃৃষ্ণা, ক্ষুধা সহ্য করে জীবন চালায় সত্য
মিথ্যা কবো না সত্য বললে জীবন যাক চলে,
সত্য আমার দেহ আর রক্ত, যদিও হই ভৃত্য
তাদের শাসনে দিনগুলি চলে মরণে নিস্তেজে।
দাপিয়া দাপিয়া আগুন জ্বেলে ওঠে ক্রোধে
মনের গভীর কুটিরের কোণে মশালের আগায়,
দারুণ সেই তেজ লাল মগ্ন রক্ত মাখা ক্ষোভে
ধ্বংস করিবো এ দুঃশাসন আগুনের শিখায়।
শত শত মানুষের অশ্রুধারায় জ্বলে ওঠে এই চিতা,
যে চিতাই যাবে শত শত মিথ্যার প্রাণ, ব্রতকথা।
হাতের চাপে, পায়়ে তলায় চাপা পড়া সত্যিগুলি,
আজ সবার উপরে স্বাধীনতার অক্ষরে তুলে ধরি।
চেন-অচেতন বোধ হারিয়ে বসে রই মাতৃভূমি,
স্বাধীনতার স্নানে বিপদে, অত্যাচারে প্রতিবাদে মুখ খুলি।
অবিচার-অন্যায় সবই একদিন মিথ্যায় পরিণত হবে,
সেই সত্য, মিথ্যা র উপর সুশাসন জারি করবে।
দুঃশাসনে প্রাণ গেছে বহু, মাটি হয়েছে লালে লাল,
সে তিলক মাথায় কেটে চাইব মাটির দাম।
বহু যন্ত্রণা, বহু লাঞ্ছণা বয়ে যায় স্রোতে স্রোতে,
ঘৃণা বিষাদ চলতে থাকে সেই অটটালিকার সভাতে।
স্বাধীনতার সংগ্রাম, সংঘর্ষ সব শেষে আসুক সম্মান,
এ সব কী সত্য! নাকি কোনো মিথ্যা বন্দি চিঠির খাম