সুরের ছন্দপতন
সুরের ছন্দপতন
ভোরের ভৈরবীরাগ শুরু আরাধ্য প্রাণ!
নব অনুরাগে বিবিধ স্বপ্নের ডালি একগুচ্ছ।
জল তরঙ্গের টুংটাং আওয়াজ গৃহমণি,
নিস্পাপ কোমল মনের পুতুলখেলা।
ডুগিতবলার তা ধিন্ তা বাজে বাড়িময়,
ফুটফুটে অবোধ শিশুর বিচরণ সর্বত্র।
হারমোনিয়ামের রিডে সা রে গা মা পা,
জীবনের তাল ও ছন্দে অঙ্কুরোদ্গম।
সরস্বতীর বন্দনায় শিক্ষার হাতেখড়ি,
তখনও তো ছোঁয়নি কোনো বেড়াজাল!
অলীক প্রেম ভালোবাসার প্রকাশ পায়নি,
শুধু ছন্দের তালে তাল মেলানোর প্রয়াস।
কিন্তু সমাজের কাঁটা এখনও জীবিত,
জন্মের লগনে যে পরিচয়
শুধুই মেয়ে!
সময়ের সাথে ছন্দপতনের কতো চেষ্টা,
মেঘ মল্লার রাগে কালবৈশাখীর লিখন।
পরবাসী হতে হবে গোত্রান্তরের পদক্ষেপে,
এক লহমায় এতদিনের অলীক স্বপ্ন ছাইচাপা!
সুরের তাল ও ছন্দে রাখতে পারেনি জীবন,
অবশেষে পরিসমাপ্তি তাল কাটা খাঁচাবন্দি বিহঙ্গ।
ঢাকির বাদ্যে মায়ের আবাহনী সুরেলা সঙ্গীত,
সানাইএর বিষাদ সুরে দিতে হবে বিসর্জন।
আজ বাপের বাড়িতে বাজে বেহালার করুণ সুর,
বহুমুখী রঙিন স্বপ্নের ক্যানভাস আঁধারে যাপন।
এই সুরের কোনো উত্তর কী সমাজের আছে?
পারবে কী আবার সুর তাল লয় ও ছন্দে বাঁধতে!