সমাজ ব্যাধি সমাজ বিধি
সমাজ ব্যাধি সমাজ বিধি


ফাল্গুনের পরশেতে, লাগিল রং মনে,
লালের সাজেতে সাজি, অনিমা হইলো কনে।
শুক্লপক্ষ চন্দ্রালোকে, হইলো সমাধা বিধি,
কৌলিন্য হারাইল যারে, সেতো বার্ধক্য ব্যাধি।
কৃষ্ণপক্ষ আসিলো না, উঠিলো শ্বাসের টান,
একজোড়া শাঁখা ভেঙে, কৌলিন্যের অবসান।।
কোনোমতে বাঁচাইয়া প্রাণ,
অভাগিনী জোড়াইল থান,
তবু ফিরিলনা বছর দুই,
জমিদার লোইলো ভুঁই,
আভরণ না পাইয়া শেষে,
আবরণ ছিনিলো সে
কাম জ্বালা মিটিলে পরে,
ফেলিল পতিতা ঘরে।
তারপর ফিরিল মাস,
বছরের দীর্ঘশ্বাস,
সমাজ ভুলিল তারে,
পতিতা করিল যারে।
বিধাতার পরিহাসে
সেদিনের অনিমাকে, শিউলি চেনে না আজ।
রাত চেনে শিউলিকে, কেড়ে নিয়ে বস্ত্র লাজ,
হোক পাপ, তবু পেটে ভাত আছে,
পরপারে স্বর্গ নাই, মাথার উপরে তবু ছাদ আছে,
এভাবেই শিউলিতো বেঁচে আছে, শিউলিরা এভাবেই বেঁচে আছে।
পরজীবী নাবলেই শিউলিরা, সংসার নয়, পৃথিবীতে আজও বেঁচে আছে।