শ্রেষ্ঠ জীব
শ্রেষ্ঠ জীব


মানব আমি। খুব দম্ভ আমার,
শক্তিতে না হলেও বুদ্ধিতে আমিই বলবান।
বিশ্বের জীবশ্রেষ্ঠ আমি,আমি মানব,
যদিও সকল পশুর চোখে বুঝি বা দানব!!
বুদ্ধিতে সব জীব কে আমি করেছি বশ,
সবাইকে বানিয়েছি আমার দাস।
নিজের স্বার্থে , জয়ের লালসায় করেছি যুদ্ধ,
চাবুকের ঘায়ে হাতি,ঘোড়া,উট-
সবাইকে বাধ্য করেছি রণে দিতে মোর সাথ।
আমার যাত্রা পথ কে করতে সুগম-
গরু-ঘোড়া কে জুড়ে বানিয়েছি শকট।
বাঘ-সিংহ শিকারে মোর আনন্দ,উল্লাস, বিনোদন-
পশু চামড়া ঘরে রেখে দেখাই-আমার আভিজাত্যের নিদর্শন।
আমার থেকে শত গুণ শক্তিশালী
হিংস্র শ্বাপদকে বশ করে-
সার্কাস দেখিয়ে চলে আমার রুজি-রোজগার।
সব পশুকে করি ব্যবহার,
আমার যখন যেমন দরকার।
এতো করেও যে আমার মন ভরে না-
বানিয়েছি তাই চিড়িয়াখানা ।
পশু-পক্ষী-সরীসৃপ-
আজ বন্দী খাঁচায় সকল জীব।
বিলাতি কুকুর, রঙিন মাছ আর
রং বাহারি পাখী-
নি:সঙ্গতা কাটাতে আমরা
ঘরেতে তাদের রাখি।
বলদের লাঙ্গল টানা জমিতে করি চাষ-
ফসল পাই আমি শীত,গ্রীষ্ম বারোমাস।
গরুর দুধে বাছুরের নয় ,
আমার প্রথম অধিকার,
মাছ-মাংস-ডিম আর মৌচাকের মধু
সবই যে আমার দরকার।
রাত পাহারায় সারমেয়,বোঝা টানায় গাধা,
আমার কাছে সকল পশুর গর্দান আছে যেন বাঁধা।
আজ দেখি আজব এক দল জুটেছে,
নাম তার পশুপ্রেমি-
বলে কিনা অবলা এই জীবগুলোর প্রাণ নাকি
অনেক বেশী দামী।
করতে হবে সংরক্ষণ , বাঁচাতে হবে এদের,
শুনে সে কথা চক্ষু চড়কগাছ হয়েছে মোদের।
হেসে গড়িয়ে পরি-মাথাটা গেছে এবার !-
চেষ্টা করি ওদের মনের ভ্রান্তিটা মেটাবার।
অনেক তর্ক-বিতর্ক,অনেক রসিকতা-
করার পরে বুঝেছি ওদের সহমর্মিতা।
জীব শ্রেষ্ঠ হতে যদি হয়, মহানতা দেখাও,
নিজ স্বার্থ ত্যাগি,ওদের তুমি বাঁচাও।