শীত থেকে বসন্তের ঘুমে
শীত থেকে বসন্তের ঘুমে
আমি কবি নই,
কথক।
যা কিছু ছন্দ, বা অন্ত্যমিল,
সবটুকু, সবার;
বাকিটা অনর্থক।
অনেকে কত যত্ন করে এসেছিল।
আর কতই না যত্ন করে হেঁটেছিল।
কিন্তু ওরা খুব জোরে হাঁটত।
আমি বরাবরই রাস্তায় অনেক ভিতু,
প্রচন্ড গতির ইঞ্জিনের ভয়ে থমকে দাঁড়াতেই,
কিংবা কোথাও ঘাম মোছার জন্যে ফুটপাতে বসতেই,
ওরা অ্যাসফল্টের ওপর আর অপেক্ষা করেনি।
করতে পারেনি।
ওলা বা উবের ধরে বাড়ি ফিরেছিল।
আর শেষে বন্ধুরা বিয়ার, রাম আনানোর পর,
জোর করতেই, ওরা ভুলেছিল, নেশায় নেচেছিল,
বা কেঁদেছিল।
জানিনা!
আমিও মফস্বলের রাস্তা থেকে, হঠাৎ অ্যাসফল্টের দিকে তাকাতেই ভুলেছিলাম।
আদৌ কি কেউ বা কারা হাঁটছিল, আমার সাথে?
শুধু আমার মনে হচ্ছিল,
দুপুর ঘুমের আগে যেমন পিসিঠাকুমা গল্প শোনাত।
আর আমি ঘুমিয়ে যেতাম।
সেরকম কেউ একটা গল্প করছিল, বা শোনাচ্ছিল।
আর ঘুম ভাঙতেই, সবটা গুলিয়েছে এখন।
যারা গল্প করেছিল তাদের মুখটাও মনে নেই,
পিসিঠাকুমার মতন।
শুধু একটা নিশ্চিন্তি ঘুমের,
একটা জর্দা সাজা পানের,
আর একটা পারফিউমের আভাস
মৃদু মৃদু করে বাঁচছিল আমার আঙুল জুড়ে।