চরিত্রহন্তা
চরিত্রহন্তা
শুনলে কবি ঠাকুরের নীরবতার গল্পওয়ালা সুর।
সুরেরা আমার হাতে প্রনয় উপন্যাস বাঁধে,
যাতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকে জাহানারা কিংবা, নুর।
আলোকিত এই বান্ধবী চরিত্রদের অনেক সেধেছিলাম।
ওরা কেন এত ভঙ্গুর বার বার পুছেছিলাম।
যা শুনেছিলাম তা আর বলবার নয়।
তবে তাতে বেশ একখান ইতিহাস লেখা হয়।
কত মানসিক সাম্রাজ্য আর্তনাদে চোখ ভেঙেছিল।
লুটিয়ে পড়ে তাদের পায়ের ভঙ্গিমায় গজিয়েছিল।
নরম দুর্বা ঘাস নয়,
বরং শ্যাওলাময় হয়েছিল।
জ্বরের মত, আবেগী ও পিচ্ছিল হয়ে শুয়েছিল।
যেন ছুঁয়ে দিলেই গা মুছে হয়ে উঠবে শুকনো আর সতেজ।
জানতাম এই উপন্যাসের না আছে স্বর আর না ঈশ্বর।
তাই আনিয়েছিলাম তেত্রিশ কোটি জাহাজ,
আর ছেড়েছিলাম সবকটাকে,
নুরের মধ্যে শুয়েছিল তখন লক্ষ্য ঘুমের ভাঁজ।
জাহানারার খোঁজ করতেই,
ওর রক্ত লাল রূমাল খসে পড়তে দেখেছিলাম।
ওমনি এক বেবাক দেবদূতের হাত থেকে,
গুঁড়ো রঙ পেন্সিলের মতো,
ভেঙেচুরে ছড়িয়েছিল জাহানারা, জাহাজের ডেকে।
নুরের মধ্যে তখনও লক্ষ্য ঘুমের ভাঁজ।
আর আমিও ভয়ে হাতকাঁপা কলম খুঁচিয়ে ওর বুকে,
মেরে ফেললাম ওকে।
মেপে মেপে আঁচড় আর কাটাকাটির পরে,
ধরে ফেললাম ওকে।
জাহানারার মতো ভাঙতে দিইনি মোটেই।
চরিত্রহন্তা বলতেই পারো,
তবু আমার নুরকে কাঁদতে দিইনি মোটেই।