একটা পুজোর গান
একটা পুজোর গান


ধরো সবাই পুজোয় গেল, ঘরেতে তুমি একলা বসে,
গাইছ গান গিটার হাতে, আপনমনে
গোটা ঘরটায় সুমন-রবি গুনগুনিয়ে।
শ্রোতা বলতে ওই,
বই দুখানি; মানিক কিংবা দাশ মশাইয়ের।
সাথে নতুন পালিশওলা আধ ভেজানো জানালাখানা।
সেই কাঠেতেই ঘষা খায় ধুনোর মতন হাওয়ারা,
উন্মাদের মতো তখন তারা তার্পিন-গন্ধময়।
কাশের যতো রূপ যেন তাদের গন্ধে বন্দি তখন।
নতুন একটা সুর তুললে, রাস্তার অনেক নিওন দেখে,
সে অনেকটা নীলচে ব্যাথায়,
দুগ্গা ঠাকুরের হলুদ-কমলা মুখ
ের মতো।
গান দিয়েই তখন তুমি গড়িয়াহাট যাচ্ছো,
আবার ওই গানেতেই হলুদ ট্যাক্সির ট্রাফিক মাপছো,
আলোকবর্ষের দুর নিমেষে কাটিয়ে, না হাঁফিয়েই
কোথায় যে ছুটছ গানের জুতো পায়ে দিয়ে!
সোনামুখী? সুন্দরবন? ডুয়ার্স? কিংবা, কলকাতা?
আদিম, আধুনিক, সুরের মাঝে সময় তখন বেশ কাবার।
বাড়ির সবাই ফিরে যখন
একলা তোমায় দিচ্ছে দুয়ো।
তুমি তো তখন বেশ জানো,
দেখলে তাদের, আর অনেক আদরের দুগ্গা মাকে;
গানের সুরে ভেসে গিয়ে,
অনেক মজায়, দেশপ্রিয় আর এভারগ্রিনে।।