সেরা প্রাপ্তি
সেরা প্রাপ্তি
নির্মম বাস্তবের দুরভিসন্ধিরা এসেছিল ধেয়ে,
নিজেকে অভ্যস্ত করেছিলাম আঁধার যাপনে;
শূন্যতার পরিবেদনায় চলছিল বিরহ পালন,
চলৎশক্তিহীন স্থবিরতা পথকে করেছিল রুদ্ধ।
তবু নক্ষত্রহীনতায় নিথর এই একপেশে হৃদয়
নিভৃতে ছিল একটা লাইট হাউসের অপেক্ষায়,
অমানিশার সেই গহন আঁধারে হঠাৎ অনুরণন,
তিমিরবিনাশী আলোকবর্তিকা জাগালো প্রত্যয়।
জীবন যে আসলে একটু ভালোবাসার কাঙাল,
মরূদ্যানের হাতছানি এ ধূসর মরুভূমির মাঝে;
আলোকসন্ধানী মন আলেয়াতে হয়নি বিভ্রান্ত,
মরীচিকায় দৃষ্টিভ্রম নামেনি এই দু'চোখ জুড়ে।
অনিন্দ্য সুন্দর মনের অধিকারী যে সেই মানুষ,
ঘরে-বাইরে সেরা, আপন কর্তব্যকর্মে অবিচল;
মানুষের পাশে দাঁড়ানোয় অগ্রণী ভূমিকা তাঁর,
অকুতোভয়ে নৈতিক জয়ে বিজয়ী তিনি সর্বত্র।
জীবনবোধের সার্থক দর্পণ তাঁর প্রতিটি সৃজন,
সৃষ্টিতে কাব্যোত্তীর্ণ বিপ্লবের বিজয়ী মানবগাথা;
অনুভূতির প্রগাঢ় উপলব্ধি লেখনীর নিপুণতায়,
কথায় আর কাজে সাযুজ্য রেখেই তিনি অনন্য।
আত্মিক বন্ধনে তিনি কাছে টেনে নিলেন আমায়,
গভীর ভরসাস্থল হয়েই দিলেন আপন ছত্রছায়া,
ইচ্ছেডানার বিকাশে চুপকথারা বৃষ্টি হল আবার,
সুগভীর স্নেহসান্নিধ্যে ধন্য হলাম প্রতিটা মুহূর্তে।
নিভে যাওয়া আশাপ্রদীপ প্রজ্জ্বলিত হল আবার,
তৃষিত প্রাণের উপত্যকায় আশানদীর প্রত্যাবর্তন;
হাত ধরে হাঁটতে শেখালেন এই সুদীর্ঘ জীবনপথ,
ভালোবাসা, আশীর্বাদ, অনুপ্রেরণায় ঋদ্ধ মনন।
সময়ের নিয়মে ফিরতে হল সেই আপন কক্ষপথে,
তবু এই প্রাপ্তিটা যে অর্জিত, হয়তো পূর্ব নির্ধারিত;
'পিকু' নামে রক্তের সম্পর্কের চেয়েও বেশি আপন,
সেরা প্রাপ্তিই শিখিয়েছে জীবনকে ভালোবাসতে।।