প্রেমালংকার
প্রেমালংকার
স্মৃতির সোপান চড়ে আজ গিয়েছিলাম
স্মৃতিমেদুর সেই পাহাড়ী ঝরনায়-
কুলুকুলু বইছিলো সে মধুর মুর্ছনায়।
ঘন বনানীর শীতল ছায়ায়
স্নিগ্ধ সমীরণ গায়ে মেখে
হাত ধরে ঘুরেছিলাম বনপথে,
অরণ্যের নীরবতা খান খান
হচ্ছিল তরুমর্মর ধ্বনিতে।
পাহাড়ী মুনিয়া শিষ দিয়ে
গাইছিল মিষ্টি মধুর গান
চারিদিক মুখরিত করেছিল
সহস্র বিহগের কলতান।
বুনো ফুলের সুবাস মিশেছিলো সমীরণে,
রঙিন মীন জলকেলি করছিল
পাহাড়ী ঝরনার জলে।
চঞ্চল হরিণ শিশুরা
ভীত নয়নে করছিলো ছুটোছুটি,
এ ডাল থেকে ও ডাল-
বাঁদররা খাচ্ছিল লুটোপুটি।
গাছের ফাঁক দিয়ে ছড়িয়ে পড়া
গোধূলির রবি কিরণ মোহময় করে তুলেছিলো
গহন সবুজ বনানীকে,
নিবিড় আলিঙ্গনে আবদ্ধ
হয়েছিল দুটি মন-
ভুলেছিলো সসাগরা পৃথিবীকে।
প্রেমের আবেশে ছিলাম নিমগ্ন
সহসা যেন হোল ধ্যান ভঙ্গ,
সন্ধ্যা নেমে এসেছে অরণ্যে-
আঁধারে ডুবে গেছে চারিদিক-
হাত ধরে দাঁড়িয়ে
কিংকর্তব্যবিমূঢ় আমরা দুই প্রেমিক-পথিক!
ভয়ে আরও নিবিড় হলো বন্ধন,
জানিনা আঁখি মুদে ছিলাম কতক্ষণ!
সহসা কিসের আওয়াজে
ভাঙলো চমক,
চারিদিকে দেখি জোনাকিরা
তাদের ডানার আলোয়
অপরূপ সাজে সাজিয়েছে বনানী,
গাছের ফাঁকে মিষ্টি হেসে
উঁকি মারছে একফালি বাঁকা শশী।
রমণীয় বাতাবরণ হলো
আরও মোহনীয়,
প্রতিধ্বনিত হলো প্রেমের ঝংকার!
প্রেম মাধুরীর আবেশ জড়িয়ে
ফিরলাম ঘরে-
বুঝলাম প্রেম-জীবনের শ্রেষ্ঠ উপহার-
প্রেম জীবনের পরমালংকার।