পাঞ্চিং ব্যাগ চাই
পাঞ্চিং ব্যাগ চাই
আমাকে কেউ একটু মারলেই লাগে অনেক বেশি,
আবার আমি একটু মারতে পেলে প্রথমে হই খুশি।
তারপর ভাবতে বসি, আমাকে কেউ ঠিক মেপে মেপে,
ঐটুকু আঘাত করলে লাগতো কতখানি!
ব্যস, কতটুকু পানি? সাগর জানি।
তখন আমার কাছে কয়েক ফোঁটা চোখের জল ,
যেন অনন্ত এক সাগরের নোনা জল !
কি দিয়ে যে মাপি ভেবে পাইনা কোনো তল।
কথারও ঠিক নেই কখন যে আবেগে কি বলে ফেলি!
রং পেন্সিল ছাড়াই মনে মনে নানা ছবি এঁকে চলি।
যতক্ষণ আমার কল্পনায় ঐ মুখে হাসি না ফোঁটে,
আমার দুঃখ যে কমেনা একটুও মোটে।
আরও অদ্ভুত কথা, মারিনা কখনো রেগে গিয়ে,
মেরে দিই হঠাৎ কোনো কারণে খুশি হয়ে।
এটা আমার ভেতরের আনন্দের একটা প্রকাশ !
কিন্তু যে আমার হাতের মার খায় তার তো শর্বনাশ।
বেশ মনে আছে কয়েক বছর পর দেখা হয়েছে,
স্কুলের বান্ধবীকে দেখে খুশি হয়ে পিঠে এক চাপড়!
বেচারী পিঠটাকে ধনুকের মতো সামনে বেঁকিয়েছে।
অথচ মুখে ওর একটা অম্লান হাসি রয়ে গেছে !
বোকা হবার ভয়ে আর সরি বলা হয়নি।
দেখে বুঝেছি ভেতরে ভেতরে ওর একটু কষ্ট হচ্ছে,
আমার ও কষ্ট কিন্তু তাতে কম হয়নি!
এমনিতে যে আমার শরীরে খুব জোর তা কিন্তু নয়,
অথচ খুশি হয়ে ঘুষি বা থাপ্পর মারার সময়,
কি করে যেন হাতে অনেক বেশি জোর এসে যায়।
অভ্যাস টা শোধরাতে মনে মনে ঘুষি মারি শিলায়,
হাতটা ব্যাথা হয়ে যেন রক্তাক্ত হয়ে যায়।
আবার মনে ভাবি যদি সেটা শালগ্রাম শিলা হয়!
তবে তো সরাসরি জ্যান্ত নারায়ন কে আঘাত,
আমার মাথায় না হয় যেন বজ্রপাত!
হে ভগবান আমাকে একটা বালির বস্তা দিও,
পাথর আর বালিতে কি এমন তফাৎ?
