নক্ষত্র রাত
নক্ষত্র রাত
দিনের গন্ধে আলোর উজ্জ্বলতায় দেখবো না বলে, তার দিকে চেয়েছিলাম নিশীথের আঁধারে|
নিৰ্ভেদ্য অন্ধকারের কালো অমাবশ্যায় তাকে এঁকেছিলাম একটি নির্জন নিভৃত সময়ে|
বাংলা ভাষা আর কল্পনার রঙে সৃষ্টি করেছিলাম তার মায়াবী রূপমাধুর্য| তারপর শুরু হলো,
শূন্যের দিকে চেয়ে নিঃশব্দের ভাষায় কথোপকথন| সে প্রশ্ন করলো, "কেন সৃষ্টি করোনি এতকাল?"
ধারালো সেই প্রশ্নের সাথে জুড়লো, "এই শূন্যে কেন ডাকলে আমায়?”
প্রশ্নের উত্তরগুলো ছিল অজানা! নিরুত্তর হয়ে তাই চেয়ে থাকলাম সেই অদৃশ্য নারীর মুখপানে|
দেখলাম চুলে তার কালো উন্মাদ ঢেউ, ঠোঁটে বাঁকা ভাঙা হাসি, চোখের কোণে চাঁদের আলো|
কিছু পরে আবার কয়েকটা শব্দের দানা সে ছড়িয়ে দিলো চারিপাশে, "রইলে যে চুপ করে!"
এবার, আমিও বলতে বাধ্য হলাম, "না, কিছু না!" সে ঠোঁট টিপে হাসলো,
একটা বেদনার রেখা ভাসালো তার মুখে! তার গাল বেয়ে গড়িয়ে গেলো একটা শুকনো নদী|
সেই জল হাত দিয়ে মুছতে যাবো, হঠাৎ ওই মুহূর্তেই, শূন্যে হারিয়ে গেলো সেই নক্ষত্র,
রাতের সেই প্রচন্ড চেনা অতিথি! তারপর আজও তার নাম, ঠিকানা এবং অস্তিত্ব আমি খুঁজছি|
২৭ বছর পেরিয়ে গেছে, এখনো নিখোঁজ সেই আকাশ-থেকে-খসে-পড়া তারা, মহাকাশের নক্ষত্র!

