নকশী কাঁথা
নকশী কাঁথা
অন্দরমহলের গল্প বাইরে বের করা,
আর পরনিন্দা পরচর্চা করা খুব কাছাকাছি নয় কি !
আমাকে নিজের মতো নিজের মনেই থাকতে দাও,
অন্দরমহলের কথা অন্দরে থাক না, ক্ষতি কি !
নিন্দা হোক বা প্রসংশা, এ নিয়ে কথা বলা হলে,
অন্দরমহলটা আর অন্দরে থাকতে পারবে কি !
আজকাল শুধু নয় ! বহু যুগ আগে থেকেই,
অন্দর আর বাহির আলাদা, সেটা এমনি এমনি কি ?
মানুষের হৃদয় যদি সদাই উন্মুক্ত রয,
কেউ ইচ্ছেমত সেখানে ঢুকে যায় ক্ষতি হবেনা কি ?
হৃদয়ের দরজায় আগল দিতে শেখাটা যেমন জরুরী,
অন্দরমহলের কথা অন্দরে থাকাটা তেমন দরকারি।
বাড়িতে তুমি খুশিমতো পোষাক পড়তেই পারো,
বাইরে গেলে আব্রু বজায় রাখতে চেষ্টা কোরো !
মানুষের অন্তর যেন এক চলন্ত মন্দির,
অন্দরমহল পবিত্র রাখতে সেটাও রাখা চাই স্হির।
পুকুরে ঢিল ছুড়লে যেমন জলে হয় আলোড়ন,
অন্দরমহল নিয়ে আলোচনা করলে,
ব্যাথা পেতেই পারে, কোনো না কোনো মন।
মানুষের জীবন সুখ-দুঃখের রঙিন সুতো ____
দিয়ে বোনা, যেন বিশাল এক নকশী কাঁথা !
পরতের পর পরত কাপড় দিয়ে ঢাকা আছে তা।
খুঁচিয়ে ভেতরে কি, কেমন করে আছে দেখা জরুরী!
প্রয়োজনে অল্প শীতে কাঁথা গায়ে দাও, ওম নাও,
নিজেদের এবং অন্যের অন্দরমহলকে তাদের,
যার যার জায়গায় একটু শান্তিতে থাকতে দাও।
