নিখোঁজ
নিখোঁজ
অন্ধকার চেপে চেপে বুকে লাগিয়েছি ক্রমাগত।
আমি অন্ধকারের বিপরীতে চেয়ে থাকতে পারি না বেশিক্ষণ।
হয়ত আমি বারুদমূর্তি নই। কিন্তু সকলের মত আমিও লুকিয়ে থাকতে ভালোবাসি।
ঠোঁটের ওপর জমাতে ভালোবাসি অব্যক্ত বিষাদ।
মিউজিয়ামের আঁতুড়ঘর কালোয় মাখামাখি।
পুরনো স্থাপত্য থেকে খননকার্যে প্রাপ্ত মুদ্রা - সবেতেই আভিজাত্যের অন্ধকার।
সমস্ত অব্যবহৃত কক্ষ থেকে চুরি গেছে আমার ছায়ামূর্তি।
নিজেকে ঢেউ থেকে আলাদা করার এই প্রচেষ্টা আগাগোড়া চালিয়ে গেছি।
যতই সমুদ্রে হারিয়ে যাওয়া ছায়ারা বড় হয়েছে, ততই নিখোঁজ হয়েছি আমি।
বিশেষজ্ঞরা বেলুচিস্তানের মরুভূমি ঘেঁটে কুড়িয়ে এনেছে আমার নেশাদের।
নিজেকে অক্ষত রাখতে আমি আজ পর্যন্ত ব্যবহার করতাম এদেরকেই।
তবে এরা কেউ মুখ খুলে বিশ্বাসঘাতকতা করেনি।
ইতিমধ্যে শহরের বুক চিরে ঝড়ের বদলে বয়ে গেছে নিখুঁত রেগিস্থান।
শুকনো খটখটে দিনে ঝলসে যাওয়া পাখিদের মত লালচে চেহারা সকলের।
এমনই একটা কালো দিনে আমার সন্ধানে দলে দলে রওনা হয়েছিল দক্ষ ডুবুরিরা।
বাকিটা? খবরের কাগজে প্রকাশিত।