নববঁধূ
নববঁধূ
চলছে উজান ঠেলে নৌকা তোমার,
দিগন্তে নামে আঁধার।
কোন্ শহরে যাবে তুমি,
যাবে কোন সে দেশে
হে বধূবেশিনী, হয়ে বিদেশিনী?
বিবাহের নহবৎ বাজে
সারা আঙিনা জুড়ে,
স্বামীর ঘরে যাবে বঁধু
পিতার ঘর ছেড়ে
তোমারে সাজালো সাজ
মিলে সখীর দল,
গোপনে মুছে আঁখি জল।
কোন্ টানে যায় সে বঁধু
জানা থেকে অজানায়,
সিধে বেশ ছেড়ে সাজে
ফুল মালা গহনায়।
জন্ম থেকে বিবাহ অবধি
বড়ো হওয়া যেই ঘরে,
তারেই ছেড়ে যেতে হয়
কোনো এক অজানার ধারে।
কতো স্বপ্ন নিয়ে নববধু
গেলো পিয়ার ঘরে,
দেনাপাওনার গোলমালে
সব সুখ গেলো ছেড়ে।
ব্যাথা আর বেদনা ভরা
সারা দেহে ক্ষত,
নববঁধুর পরিনতি মৃত্যুর ব্রত।
শ্বাসরোধ-গলায় ফাঁস-জীবন্ত আগুন
ধীরে ধীরে কেড়ে নেয়
জীবনের সকল বসন্ত-ফাগুন।
আজ ও কেন নববঁধুরা হয়
পণপ্রথার বলি,
কোন্ সে সুখের খোঁজে নববঁধুরা
পাড়ি দেয় অজানার গলি।