নারী
নারী
কপালে রক্তের দাগটা আবছা হয়ে
রয়ে যায়,
হয়ত নিজের অজান্তেই।
কারণ ইচ্ছাকৃত কেউ স্বামীর অত্যাচারকে,
তুলে ধরে না সবার মাঝে।
এ তারই লজ্জা, নয় স্বামীর,
কারণ সে তো "নারী"।
সে জানে সীতাকে, চেনে দ্রৌপদীকে,
আর একবিংশ শতাব্দীর জ্যোতি সিং তো
তারই আরেক সত্তা।
তবে তোমার জন্য আছে,
অফুরন্ত জ্বলন্ত মোমবাতির প্রতিবাদ,
রয়েছে রঙ বেরঙের প্ল্যাকার্ড, ফেস্টুন,
মিটিং, মিছিল, জমায়েত আর মন্ত্রীর কার্টুন।
" নারীর বুক ফাটে তো মুখ ফোটে না ",
সত্যি কি গর্ব আর সম্মানের কথা,
সে কি জানে এটিই তার
চরম দূর্বলতা।
যখনই নারী রুখে দাঁড়িয়েছে,
পুরুষ তাকে বসিয়েছে দেবীর আসনে,
পূজো করেছে তার রনংদেহী মূর্তিকে।
না, তাতে কোনো লাভ হয়নি,
বরং নারী সমাজ ডুবেছে আত্মতুষ্টিতে।
তাইতো আজও তারা একদিকে শুধুই
মা, বোন, পত্নীর মতো দূর্বল প্রাণী,
অন্যদিকে গভীর রাতের মাদকাসক্তি,
একান্ত ভোগের অমৃতখনি।
তুমি বুঝে নিচ্ছো নিজের অধিকার,
ছলে বলে কৌশলে।
কারণ তুমি শিক্ষিতা, তুমি ছলনাময়ী,
তুমি চার দেওয়ালের গন্ডির বাইরে।
তোমার ওড়না আজ ফ্যাশন,
আবরন তোমার কাছে বাহুল্য।
কিন্তু গ্রামের ঐ কমলার কি হবে?
ওতো সরল সাদা,
ও জানে না কোনো ছলনা।
শাড়ির নিপাট ভাঁজে নিজেকে লুকিয়ে রাখে,
আগাগোড়া অতি সন্তর্পণে।
তুমি মডার্ন ললনা, তাই
যে চোখে পাও তুমি সুখের খোঁজ,
সেটাই তার কাছে নেকড়ের লোলুপ দৃষ্টি।
বিধাতা তুমি নিও সহস্র প্রনাম,
সত্যি, নারী, তোমার এক
অনন্য সৃষ্টি।
