দূর্গাপূজা
দূর্গাপূজা
শরতের ঐ স্নিগ্ধ আঁচল, প্রকৃতি যখন রাখলো পেতে,
টূপ টাপ টুপ শিউলির দল, উঠল বুঝি গল্পে মেতে।
শিশির ভেজা শারদ সকাল, আগমনীর আগমন,
সপ্তমীর এই মিঠে রোদে, নেচে উঠে প্রাণ, মন।
ঢাকের বাদ্যি ঢ্যাঙ কুড় কুড়, নৈবেদ্যর ডালি,
কচি বুড়ো সবাই জড়ো, হবে এবার, পুষ্পাঞ্জলি।
সন্ধিপূজা, ধুনুচি নাচ, মা যে মোদের বাঁচার আশ।
অষ্টমীর এই পূণ্যক্ষণে, মা কে বলি আপন মনে,
সবার যেন কাটে ভালো, আবার বারোটা মাস।
রং বেরঙের পোশাক-আশাক, দুপুর বেলা ভোগের প্রসাদ,
হাজার খুশির মাঝেও বুঝি, কোথাও যেন একটু বিষাদ।
নবমীর এই সন্ধ্যা খানি, সবাই জানি, ভীষণ দামি,
সকলে মোরা মন মরা, মা যে হবেন, কৈলাশগামী।
খাওয়া দাওয়া আর ঠাকুর দেখা, অবশেষে বাড়ি ফেরা,
কাল থেকে আবার দেবে উঁকি, লুকিয়ে থাকা অপেক্ষারা।
সিঁদুর খেলা, বরণ ডালা, চোখের জলে সবই ভাসে,
এমন করে উমা মোদের, বছরে কেন একবার আসে?
বিসর্জনের বিষাদ সুরে, এবার বিদায় বেলা,
আবার মোদের শুরু হল, প্রহর গোনার পালা।
গুরুজনদের প্রণাম, সঙ্গে মিষ্টি মুখ,
বিজয়া দশমীর কোলাকুলি, বয়ে আনুক সুখ।