মাতৃকা নাকি বিষকন্যা
মাতৃকা নাকি বিষকন্যা
বুকের ভেতর দাফন অতিপ্রাচীন,
অতল আহ্বান আয়ুরেখার শেষ ঘাটে থামে।
তার নীলেতে ছাপিয়ে যায় ঠোঁট
এ কী পারাবার নাকি মন্থন বিষ!
গলা ফুঁড়ে উঠে আসে কাশবন,
ডুবিয়ে নিলেও মৃত্যু তাদের মানা;
একটুকরাে সভ্যতা ঘুমায়
পরম-স্নিগ্ধ, শান্ত-শীতল স্পর্শে।
হৃদপিণ্ড ছিড়ে গেছে স্রোতে,
গলে গেছে সব অস্থি-মজ্জা,
স্বস্তিকা আঁকা জন্মদাগে আর
মঙ্গলঘট নাভিতেই রাখা।
শ্যাওলার বিছানাতে
নাভিমূলে জেগে ছিল যারা,
সময়ের ঔরসে গর্ভবতী আজ তারাও।
নক্ষত্রদের বয়স যত বাড়ে
গর্ভ ফুঁড়ে পাহাড় ওঠে বেড়ে
যত্ন করে গুছিয়ে রাখা ক্ষয়ে।
চোখের পাতা আলতাে করে বােজা,
হাওয়ার শেকড় ঘাড়ের কাছে নামে।
সবটুকু বর্ণান্ধতা জমিয়ে
দেখে সে দিব্যচক্ষু মেলে।
চিবুকে পলির স্তর, মায়াবী সে বড়ই,
আকাশের সব রঙ শুষে নীল মেখে নেয়
নিজের সারা গায়ে।
উঁচু করে বাঁধা খোঁপায়
মেঘলা স্তুপাকার,
ধূসর বিষন্নতার যানজটে উত্তাপ
পাহাড় চুড়াের বরফ গলে
গভীর আরও গভীর
গভীরতা বাড়ে মৃত্যু উপত্যকার।
এ কী পূর্ণাঙ্গ এক নারী নাকি অতিপ্রাকৃতিক!
দেবী নাকি প্রেয়সী!
মাতৃকা নাকি বিষকন্যা!
