কবির নির্লজ্জ কবিতা
কবির নির্লজ্জ কবিতা
কবিরা শব্দ টুকে টুকে কবিতা লেখেন ।
যেমন...
ভিজে মাটি ।
কাশ ফুল । স্থির নদী । সিঁদুর চুবানো দেবতার থান।
ভিজে পাহাড় । যৌনতার রূপটান । সমুদ্র বলবান।
গাছপালার কুঁড়ির বয়স বাড়ে,ভালোথাকার সুবাদে ছাঁটা গর্দান।
সাদা কাগজের মতো বিধবার শুভ্র থান কাপড় নিকানো উঠান ।
কবির কলমের আঁচড় ছবির মতো কথা বলেন ।
যেমন ...
রঙ্গপ্রবণ অন্ধকারে কার পাশে শুয়ে শরীর মেলে
আজও নির্দ্বিধায় দু’হাত ভরে খিদের চাল মেলে ।
কবির দু’চোখ নিঃশব্দতা ছুঁয়ে লিখে রাখেন।
যেমন...
শরীরে ঈশ্বর থাকে বলে উনুনের আঁচ কথা বলে ।
ধর্ষণের নির্যাতন একলা নিবিড় বর্ষণ বৃষ্টির জলে
উবু হয়ে
বসে থাকা
নারীর স্তনের‘ওমে’লিখে ক’খান কবিতা
নির্বাক ধানের বুক দুধের স্বাদে মানবিকতা।
কলমের টানের স্পর্শে বর্ণহীন মানসিকতা।
ধর্ম নিঃসাড় নির্বিকার
ধর্মান্ধ রক্ত দুধের সুবাসে কন্যা জায়া জননীর সংসার।
কবিতার শব্দের ফেনায়
পুরুষের হাতের আঙুলের মধ্যমা তর্জনী
স্থিতির খাপে খাপে বাহাদুরি ।
ফুসলে ফাসলে তুলে নাজুক কিশোরীর
অস্থিমাংসে আনন্দ সুড়সুড়ি ।
শিস-ওঠা আলোর অন্তরায় বিঁধে থাকা।
এক গোটা রাত ।
এক থালা ভাত।
কবিতার সংকলনে কবির বেঁচে থাকা ।
পৃথিবীর
দিনরাত্রির অস্থি পোড়ে
ক্ষীণশবে স্বাস্থ্য পোড়ে
আকাশের নীচে মানুষের কাতার । জেহাদ ঘর পাতার।
জননীর আঁচল স্নেহ মমতা আহ্লাদীর।
সুনীল আকাশ সন্ততির বুকের নিবিড়।
ঠা-ঠা রোদ্দুর । ঘর-গেরস্তি । একঝাঁক বিহঙ্গ । স্বস্তির নিশ্বাস।
কবি নিঃশব্দে চলে যান ঠোঁটে শব্দ বাজিয়ে ।
যেমন...
কবে পুড়ে গেছে আকাশ
পুড়ে গেছে নির্মল বাতাস
রঙচটা বাস্তব অমোঘ অভিশাপ
শৃঙ্খলা ভেঙে ভেঙে ধাপে ধাপ
বেড়ে উঠছে ভুবন ডাঙায় পোক্ত ঘরবাড়ি ।
নগ্নতম শরীর স্নান সারা নারীর জলুস
সর্বোত্তম কাম খুবলে বিলাসী পুরুষ
কবির চৌকাঠে কবির নির্লজ্জ কবিতা।