জ্যোতির্ময়ী
জ্যোতির্ময়ী
কিছু গল্প অথবা গল্পের মতই - আমরা বলি
আমরা শুনি, এমনকী যেন স্বচক্ষে দেখতেও পাই,
রাজকন্যা, কোটালপুত্র বা ব্যাঙ্গমীর গপ্পো, ‘অরণ্যের অধিকার’-এর মতই,
কিছু রূপকথা, কিছু মানস পটে ভেসে চলা রক পাখির মত -
বিশালাকার ডিম্ব প্রসব করে কোনও আধা-চেনা বৃক্ষের নীচে -
শুধু আমার মত আপামর রাজপুত্তুর-রাজকন্যেদের জন্য।
আর সেই মুহুর্তেই বেশ কিছুটা দুরে আরও কিছু গল্প জমা হতে থাকে –
তুমি গল্প বল মা, কিছু নির্বাচিত ‘অগ্নিগর্ভ’ গল্প।
মানুষ শুধু তেপান্তরের মাঠের পরে সাতমহলা বাড়ির কথায় মজে থাকতেই চায়।
তবু তুমি স্তন্যদায়িনী ছিলে, তাই এল নবারুন উদাত্ত কলমে –
তাই ইতিহাস নেমে এল ঘাটের কাছাকাছি, লোধা বা শবরের উঠোন বরাবর,
এঁদো ডোবা আর ধুতরো ফুলের ঝুপসি ঝোপের কাছাকাছি,
জোনাক জ্বলা বাঁশবন আর কাদামাটি ধোয়া তুলসীতলার কাছাকাছি,
ইঁট বের করা মাজারের কাছাকাছি, যাতে ‘ঝাঁসির রানী’র গমনপথ সুগম হয়।
তবু তুমি ছিলে –
আর ছিল অকৃত্রিম সরল মাধুর্য, যেতে চাই যার কাছাকাছি; আর -
মাথার কাছাকাছি আধখোলা থাকুক 'হাজার চুরাশির মা’।