জিমি রে
জিমি রে
জিমি রে, তুই তো ছিলিস আমার বোন,
আজ ও তোর কথা ভাবলে ভরে ওঠে চোখের কোন।
সময় অনেক গেছে, একুশ বছর নয় খুব একটা কম,
তবুও তুই যে রয়ে গেছিস মনে একদম একই রকম।
লাফিয়ে ঝাঁপিয়ে তোর আদর করা, একা হলেই
কেঁদে পাড়া মাথায় করে নেকড়ের মতো সুর করা,
আর যেই না আমার বাড়িতে ফেরা,
ওমনি আল্হাদে আটখানা হয়ে কোলে লুটিয়ে পড়া!
কোন কথাটা, কেমন করে ভুলি, তুই আমায় বল।
দু-তিন বার বোধহয় হতে চেয়ে ছিলি স্বাধীন,
পাড়ার কুকুরদের মধ্যে তুই তো ছিলিস হিরোইণ!
দৌড়ে যেতিস যেন ছটফটে এক সুন্দরী হরীণ।
সবাইকে হাঁপিয়ে দিয়ে, নিজের দম ফুরিয়ে,
অবশেষে ফিরতিস নিরাপদ বাড়ির আশ্রয়ে।
ভুল কাজ যে করেছিস, বেশ বুঝতিস,
সেজন্যে আবার একটু একটু লজ্বাও পেতিস।
খুব বেশি শব্দে, তোর তো অনেক কষ্টই হতো,
তাহলে বিয়ের ব্যান্ডপার্টির শব্দে লিচু গাছের তলে,
বলতো? কি করে অমন চুপ করে ছিলিস?
চলে যাচ্ছি, এই কথাটা যখন তোকে বলতে গেছি,
পারিনি তো একটি কথাও বলতে।
আমি যেমন কাঁদছিলাম, তুইও নীরবে কেঁদেছিলিস।
হ্যাঁ রে জিমি, তুই কি সবটাই বুঝতে পেরে ছিলিস?
একটু বড় হবার পর ছেলে চেয়ে ছিল,
একটা মাত্র কুকুরছানা পুষতে, দিইনি আমি।
পারবোনা আর বুকটা আমার ভাঙতে।
জন্মের পর ঐ পুচকেটাকে দেখে,
একটু খেলতে, আদোর করতে চেয়েছিলিস।
দিইনি আমি, যদি ভুল করে আঁচর কেটে দিস!
বলেছিলাম, একটু বড় ও হোক, তারপর খেলিস।
জানি আমি, হয়েছিলো যে তোর অনেক অভিমান,
দিসনি সময়, কে জানে তোর যে আয়ু ফুরিয়েছিলো,
মাস তিনেক পরেই নিয়ে গেল তোকে ভগবান।
তোকে ভুল বুঝে হয়তো আমি করেছি অন্যায়,
জিমি রে, সোনা বোন আমার, একটু মাপ করে দিস।
