ইস্পাতের সরীসৃপ
ইস্পাতের সরীসৃপ


হিসেব, তোদের খবর নেওয়ার আজ সময় নেই ;
উত্তর থেকে দক্ষিণ মেরু আড়াআড়ি,
দিগন্তরেখার সমান্তরাল আবদার রেখা টানা।
খুচরো জোছনা নেই , নাগরিক আতিশয্য নেই ;
আমি দোলনায় দুলি দুরন্ত হাওয়ার।
ইস্পাত রেলে চাকার ঘষ্টানি শুধু ,
রোয়াকে তাস নয় আছে ১১ নং কামড়ার মুখোমুখি ,
ঝালমুড়ি আর ছোলা চাটের দেদার চর্চা।
আরাম কিনে রাখে দুরপাল্লাগুলো ,
প্রতিবছর একেক যাত্রার কিস্তিতে তুলে দেয় হাতে।
দূর হতে শহরের ডাক ভেসে আসে ,
"অস্থির হে , ভ্রমিয়া বিশ্বময়
আসিবে কাহারও বুকে ফিরে?
যদি কৃত্রিমতায় বদলে রূপ পরিবর্তন হয় ,
আমায় কিন্তু সেই বিরহিনী তিলোত্তমা হয়েই,
সেই শতাব্দীর ইতিহাস বুকে নিয়েই,
বেঁচে থাকতে হবে। "
আমি কই , "সহস্র সভ্যতাময় দুরন্ত মূষিকেরা
আজ একটু খরগোশ হতে চেয়েছে ,
দাও না তাকে ছেড়ে! ফিরবে তো বটেই।"