হরেক রঙের পাপড়ি দিয়ে সাজানো গোলাপ
হরেক রঙের পাপড়ি দিয়ে সাজানো গোলাপ
(১)
সানসায় ভরা একটুকরো সূর্য।
ডুবুরি হয়ে অন্ধকারে রত্ন খোঁজে।
অসমাপ্ত হৃদয় সেঁকবো বলে -
চামড়ার ডিঙা ভাসিয়েছি সমুদ্রে।
(২)
হিমালয়ের চুড়ায় তপস্যারত বক।
সাদা পালকে ঢেকেছে রাত্রিমাখা শরীর।
ইস্পাতের তরবারির বুক ফেটে যায় তৃষ্ণায়।
রক্তের খোঁজে উড়ে যায় নিশাচর দূত।
(৩)
ভুশুণ্ডির মাঠে তে-পায়া চৌকি।
দাঁড়িয়ে আছে অদ্ভুতুড়ে কায়দায়।
ভাঙ্গা পায়ার নীচে জমাট অন্ধকার।
(৪)
আকাশের চরিত্রহীন পুত্র -
শুষে নেয় তরল পৃথিবী।
শুকনো গর্ভে ভোরে দেয় তেজ।
জারজ মেঘ খেলা করে আকাশের বুকে,
তারিয়ে বেড়ায় রাহুর গ্রেপ্তারি পরোয়ানা।
লুকিয়ে থাকে পাহারের খাঁজে - সমুদ্রের জঠরে।
(৫)
একপায়ে দাঁড়িয়ে নলখাগড়ার দল -
মগ্ন স্তুতি-গানে,
টলে যায় হিমালয়ের আসন।
দূত হয়ে ছুটে আসে নদী,
সাগরে।
জানি একদিন,
নোনা জল ফুঁড়ে জেগে উঠবে সবুজ দ্বীপ।
আকাশে ভাসমান আলোকচক্র, আটকে যাবে -
অজানা দ্বীপের, অজানা গাছের ডালে।
(৬)
আধাখানা বিস্কুটের মতো বিষণ্ণতা -
পড়ে আছে প্লেটে। বঞ্চিত,
ধূমায়িত চা এর উষ্ণ আলিঙ্গনে।
আমুদে রোদ আর ভিজে হাওয়ার কৌতুকে -
খসে পড়ে শৃঙ্খল। ন্যাতান শরীর -
দিকভ্রস্ট, পিপীলিকার ইশারায়।
(৭)
আধখানা নৌকায় জুড়ে আছে -
আধখানা পালকি।
ছেঁড়া লুঙ্গি দিয়ে মাস্তুলে বাঁধা -
ক্রস খানা।
আজানের সুরে জেগে ওঠা পাখি,
ফিরে আসে সন্ধ্যারতির উলুধ্বনিতে।
(৮)
তোমার সাথে দেখা হবার আগে,
সময় ধারা তীব্র খরস্রোতা।
এখন সে বাতের ব্যাথায় কাবু,
কষ্ট করে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে হাঁটে।
(৯)
নক্ষত্রের মতো স্বপ্নরা,
লুকিয়ে থাকে আলোর ঝলকানিতে।
বিষণ্ণতার অন্ধকারে,
জ্বলে ওঠে জোনাকির মতো।
(১০)
নরম মাংসের নীচে -
অব্যক্ত কালশিটে দাগ।
সবার অলক্ষ্যে, যন্ত্রণার বীজ -
বেড়ে উঠে আজ চারাগাছ।