আমার কবি এখন কাক
আমার কবি এখন কাক
তোমার শীর্ণ চেহারা-বিচ্ছুরিত অদম্য তেজ,
আজ নিষ্প্রভ শাসকের চোখ-রাঙানীর কাছে।
ছিঁড়ে গেছে মন আর মস্তিষ্কের বিনিসুতোর বাঁধন।
বাঁকা শিরদাঁড়া, উপঢৌকনের চাপে আজ ভঙ্গুর।
ঘোলাটে চোখে মানুষের ঝাপসা প্রতিবিম্ব।
আচমনের অছিলায়, ঘোলাটে করো স্বচ্ছ পানি।
কাঁচা-পাকা দাড়ি, তোমার মানানস মুখোশ।
চাটুকারিতায় ব্যস্ত শানিত জিভ আজ ভোঁতা,
ঝরে পড়ে লালা, চেটেপুটে খায় পচা-গলা দেহ।
মেহনতি মানুষের গন্ধ, বিলুপ্ত তোমার কালিতে।
দোয়াত ভর্তি সুগন্ধি মিশে যায় ঠাণ্ডা বাতাসে।
ঝুলি থেকে উধাও প্রতিবাদের শব্দ।
মেদবতী অক্ষর গুলো সেজে যায় অদৃশ্য অঙ্গুলি-হেলনে।
সম্পাদকের টেবিল সুসজ্জিত, পার্টি অফিসে।
লাল-কলম দিয়ে আঁচড় কাটে রাজনীতির দাদা,
তোমার অ-কবিতা প্রতিশ্রুতির মলম লাগায়-
দগ্ধ মানুষের শরীরে।
