একটি কৃষক, একটি প্রেম, ও বিশ্বাস-এর সমাবেশ
একটি কৃষক, একটি প্রেম, ও বিশ্বাস-এর সমাবেশ
সবথেকে উঁচু গোল পাথরে,
গালে হাত দিয়ে বসে ময়ূর।
পেখমের ভারে ন্যুব্জ। বিস্বাদ লাগে রঙিন ছটা।
এখনো বাতাসে পোড়া মেয়ের গন্ধ।
ফুটিফাটা জমিতে অজস্র রেখা, যন্ত্রণার।
বাইরের রুক্ষতা ছুঁতে পারেনি অশীতপর মানুষটিকে।
সংকল্পবদ্ধ চাউনিতে আশ্বাস বাণী।
অস্থিচর্ম হাতের কোমল ছোঁয়ায়,
থেমে যাওয়া পৃথিবী ফিরে পায় যৌবন।
ছেলেটির দুহাতে অজস্র ঘড়ি।
কব্জা করতে চায় সময়-কে।
দু-ব্যাগ ভর্তি মেয়েটির স্পর্শ।
হাজার মাইল হেঁটে চলেছে,
এক অনন্ত সাক্ষীর খোঁজে।
আজ দুমুঠো চাল বেশি, হাঁড়িতে।
কর্কশ কেকার আগমনী ডাকে, ভেঙেছে ঘুম।
নিস্তেজ শরীরের আড়ালে ব্যস্ততা।
রাত্রি শুষে নেবে দ্বিধা যুবকের মন থেকে।
পরিত্যক্ত কুলদেবীর মন্দির আজ মুখর।
অসংখ্য আগ্রহী চোখ সরু মলিন রাস্তায়।
ঝোপের বেড়াজাল সরিয়ে উঠে আসে,
বৃদ্ধ দেবদূত। হাতে শস্যের উপঢৌকন,
দৃঢ় চিবুক, চোখে উচ্ছ্বাসহীন জয়ের পরিভাষা।
সবথেকে উঁচু গোল পাথরে,
স্তবে রত, দ্বিধাহীন যুবক।
ভোরের নরম আলোর ছোঁয়ায়,
উড়ে গেল পেখম মেলে।
স্মিত হেসে খিল দেয় অশীতপর মানুষটি।