ঘ্যেবর বনাম বাবরসা
ঘ্যেবর বনাম বাবরসা
বাবর এসেছিলেন হুণদের মাঝখান হতে,
মুখের স্বাদের প্রিয় খাবার এসেছিলো রক্তের সাথে।
খাঁটি ঘী, চিনির সিরা, রাবড়ি, মালাই, ক্ষীর,
সব হজম করে নিত ওদের পরিশ্রম করা শরীর।
হয়তো তখনও ডায়াবেটিসের নাম কেউ শোনেনি,
কোলেস্টেরল মানুষের জীবনে আসতে পারেনি।
অথবা এসেছিলো চুপিসারে, কেউ জানতে চায়নি,
আসলে বিজ্ঞান যে তখনও এতটা এগোয়নি।
ওদের এক মিষ্টিকে রাজস্হানে, লোক মনে রেখেছে,
ভালোবেসে খাবারটাকে"মালাই ঘ্যেবর" নাম দিয়েছে।
যেন ঠিক মৌমাছির চাক, রসে ভরা সব কুঠুরি,
এক ই সাথে সুস্বাদু আর যেন ভীষন মনোহারী!
নানা রকম পাই এর মতো গোলাকার দেখতে,
তাই হয়তো কেউ কেউ ক্ষীর পাই চেয়েছে বলতে।
মেদিনীপুরের লোকেরা চেষ্টা করেছিল তৈরী করতে,
এবং বেশ সফলতার সাথে কাজটা পেরেছে করতে।
জায়গাটার নামই হয়ে গেল ক্রমে ক্ষীরপাই,
খাবারটার নাম ভালোবেসে দেওয়া হলো" বাবরসা"
খেতে গিয়ে সকলেই বলে "বাঃ", মানে "বেশ খাসা"!
এভাবেই স্মৃতিতে রয়ে গেলেন সম্রাট বাবর মশাই।
রাজস্হানের "মালাই ঘ্যেবর" বা বাংলার "বাবরসা"
খেতে যার যেমনটা লাগুক, ব্যাপারটা আসলে একই।
রসগোল্লা বাঙালীর সৃষ্টি, এটা তো মেনেছে সকলেই,
"বাবরসা" নিয়ে টানাটানি করার কোনো মানে নেই।