এ কেমন খেলা
এ কেমন খেলা
রান্না বাটি নয়কো মোটেও, তবু খেলছে বটে খেলা !
পাশের মাঠে চলছিল বোধহয় পূজোর খেলা ধূলা ।
জানলা দিয়ে তাকিয়ে দেখি কালকে সকাল বেলা !
টপকে পাঁচিল, দিচ্ছে ঢিল, তুড়ুক লাফ, বাপরে বাপ,
জনা পাঁচ ছয় পুঁচকে মিলে ছেড়েছে তাদের গলা ।
নতুন বাড়ি, নেইকো ছাদ, তবু ছোটোদের জটলা !
মহা উৎসাহে তখন ওদের দড়ি, ইঁট কুড়ানোর পালা,
মিস্ত্রিদের রাখা জলের বোতলও যায়না মোটে ফেলা।
ছেঁড়া লাল ,সাদা পলিথিনের টুকরো, সুতলি, শোলা!
হাবিজাবি কত কি করেছে জড়ো, গাঁথবে কি মালা ?
তার, বস্তা, কাগজ, প্লাস্টিকের খেলনা, যা হয় ফেলা।
হঠাৎ দেখি এক গুন্ডি মেয়ে যায় কি কারণে ক্ষেপে,
বসে থাকা শান্ত শিষ্ট, হাদা ভোদা সেই ছেলেটাকে,
বাঁ পায়ে দমাদম লাথি দু-তিন, দেয় যে খেপে খেপে।
নাঃ কান্নাকাটি , আপত্তি , কিছুই নেই তার দেখে ,
আরো দুজন পর পর অনুসরণ করে সেই মেয়েটাকে।
এ সব হচ্ছে টা কি? এ কেমন খেলা ভাবছি মনে মনে,
রান্না ঘরে চায়ের জল, ফুটছে তখন গ্যাসের উনুনে।
বোধ হয় এটাই ওদের খেলার ধরণ বা চাঁদার জুলুম,
এতো কান্ড ! হরিণ দেখে, বাঘ সিংহের হালুম হুলুম !
ইঁটের ওপর ইঁট সাজিয়ে পূজোর মন্ডপ তৈরী হলো,
ইঁটের গায়েই দড়ি জড়িয়ে যেন কলাবৌ বানালো।
অথবা হতে পারে তা বটগাছে সূতো জড়ানোর মতো,
ইঁটের দুপাশে বসে না জানি কি সব বললো, মন্ত্র যত!
দু তিন জন মিলে কিছু অপ্রয়োজনীয়, দিল বিসর্জন,
একটু দূরে গিয়ে ফেললো ঢিল দিয়ে,যেন বিস্ফোরণ।
কাজকর্ম ছেড়ে কতক্ষণ এসব কান্ড দেখি দাঁড়িয়ে,
দেখতে দেখতে জানি তো, সময়টা যাবে যে হারিয়ে।
কিছুটা সময় পরে যখন আবার দেখি জানালা দিয়ে,
কেউ নেই, দু তিনটে ইঁট ছাড়া আর কিচ্ছু পড়ে নেই,
খেলা ওদের ভেঙে গেছে, সব দিয়েছে কখন সরিয়ে।