ডায়েরির বাইরে
ডায়েরির বাইরে
আমার ডায়েরি পড়তে যেও না
হতাশ মনে হবে,
ডায়েরি পড়ার অদম্য ইচ্ছে
দেখবে মলিন হবে।
প্রথম পাতায় দেখতে পাবে
শপথ নিয়েছি আমি,
আমার আমি আমাতেই মজে
হবো না বিপথগামী।
দেখতে পাবে মুদিখানায় ধার রয়েছে কত,
দুধের দামের হিসেব রয়েছে, লিখেছি সময়মতো।
সকাল বেলার খবরের কাগজ
দামের হিসেব রাখি,
ছেলের স্কুলের মাইনে এবার
রয়ে গেছে কত বাকি।
কাজের মাসি আসেনি কদিন
তারও হিসেব লেখা,
বললেই হলো, বিনা কাজে পয়সা দেবো
এমন তো নই বোকা।
দেখতে পাবে পুজো বাবদ খরচ করেছি কত,
তবুও শুধু কথার জ্বালা, হয় না মনঃপুত।
খাওয়া দাওয়ার খরচ ছাড়াও
বাড়তি খরচ প্রচুর,
সবার ভালো করতে চেয়েছি, দিব্যদৃষ্টি সুদূর।
চালের হিসেব, আটার হিসেব, তেলের হিসেব পাবে;
বাড়ির মেরামতিতে আনুমানিক অনেক টাকা যাবে।
বয়স হয়েছে রোগের জ্বালা,
ওষুধ যে খাই কত;
হিসেব কিন্তু সঠিক লেখা,
তবু বাড়ছে বুকে ক্ষত।
ডায়েরি পাতায় হিসেব রেখেছি
খরচা করছি কত,
একটু এদিক ওদিক হলেই চিন্তাতে বিব্রত।
বড় আশা নিয়ে ডায়েরি পাতা খুলেই দেখছো নিজে,
কলমের দাগে তোমার কথা লেখা নেই কোথা যে।
ভালোবাসি তাই, তোমায় রাখিনি ডায়েরির কোনো পাতায়,
পুরোনো হলেই জীর্ণ পাতায় ঝরে ঝরে পড়ে যায়।
বদলে তোমায় যত্নে রেখেছি
মনের গভীর কোণে,
অনুভবের দৃষ্টি মেলে বাড়াই মনের টানে।
