দাদুর বিয়ে
দাদুর বিয়ে
খবর রটলো অনন্তপুরের
ঘোষ পাড়ায়,
আশি বছরের ঘোষদাদু নাকি
করছে বিয়ে!
পাত্রির বয়স খুবই কম,
ছিঃ ছিঃ করছে গ্রামের লোকেরা
মুখ বেকিয়ে।
রাতারাতি রটে গেল এই কথা
এক গ্রাম থেকে আর এক গ্রামে,
দাদুর কানে পৌঁছালোনা কারন
দাদু যে কানে কম শোনে!
গ্রামে বসল বিচার সভা,
একটা বিহিত তো করতেই হয়!
ডাকা হলো দাদুর ছেলে মেয়েদের,
সবাই এসে হলো হাজির,
বক্তব্য রাখল নিজেদের।
আলোচনা করে ঠিক হলো এই বিয়ে
করতে দেওয়া যাবেনা কিছুতেই!
তাতে যদি হয় ঝামেলা হোক!
দাদুকে শাস্তি দেওয়া হবে
এই বিচার সভাতেই।
সবাই একসাথে বলে উঠল হ্যাঁ....
হ্যাঁ.... এটাই ঠিক সিদ্ধান্ত!
তিন কাল পেরিয়ে এসেও বুড়োর
বিয়ের সাধ জেগেছে বড্ড!
দল বেঁধে সব হাজির হলো বুড়োর বাড়ি,
কিন্তু কোথায় বিয়ে? কোথায় সানাই?
এ যে বুড়ো ঘুমাচ্ছে নাক ডাকিয়ে।
মাথার কাছে বসে আছে একটা
বছর ষলোর মেয়ে,
থেকে থেকে দাদু.... ও দাদু.... করে
উঠছে চেঁচিয়ে।
সবাই একে অপরের মুখ চাওয়া চায়ি
করে জিজ্ঞাসা করতে লাগল
ব্যাপার খানা কি?
মেয়েটি মুচকি হেসে বলল তোমরা
সবাই গুজব শুনে এসেছো নাকি?
সবাই মাথা নিচু করে দাদুর বাড়ি
থেকে এলো বেড়িয়ে,
বিচারসভায় ঘোষণা করা হলো
সবাই গুজব চলুন এড়িয়ে।