বৃষ্টি (তিয়াসা হোড়)
বৃষ্টি (তিয়াসা হোড়)
বৃষ্টির শব্দে কান হয় উত্থলিত,
চারিদিকে মেঘের ঘটা -
কোথাও যেন মন হয় বিগলিত !
মাটির গন্ধ কাড়ে মনের চিন্তা ,
মনমাতানো পরিবেশ যে হয় সৃষ্টি -
বুঝি কাটায় আজ তা মলিনতা !
পাতায় পড়ে শিশির বিন্দু একখানি ,
আকাশ পানে চেয়ে দেখে বুঝি -
সূর্য যে আজ বড়ই অভিমানী !
সূর্য অপেক্ষা করে লুকিয়ে থাকার জন্য ,
মেঘের পুঞ্জ দেয় তারে ঢেকে -
মাতায় সমগ্র বিশ্ব হয়ে অনন্য !
বুঝি নদীগুলি বয় ধীরে ধীরে ,
পাখিদের শুনি কিচিরমিচির -
বুঝি ফিরে এলো ওরা নিজ নিজ নীড়ে !
রোদ দেয় সূর্য অতীব তেজে ,
বৃষ্টি কি শুধু ভেজায় মোদের ?
সমগ্র বিশ্ব যে তার আলিঙ্গনে ভেজে !
মিষ্টি রোদ্দুর উঠলে আকাশে ,
শুকনো হতে থাকে মাটি -
কিন্তু বাতাস যেন বৃষ্টির গন্ধে ভাসে !
বৃষ্টি যেন এক নিবিড় হাতছানি ,
কি জানি কখন ঘটবে তার পুনঃআগমন -
তাহলে কি আজ সেও অভিমানী ?
বৃষ্টির জল কি সত্যিই থাকে আসল ,
বৃষ্টি যে করে অন্তরের দ্বার উন্মুক্ত -
থাকে কি তাতে অংশ চোখ দুটি হলে সজল ?
বৃষ্টি দেয় স্মৃতিকে ভাবতে বারবার ,
পুরনো দিন যায় নিয়ে -
দেয় বুঝি সুযোগ করতে অশ্রুগ্রন্থিকে ব্যবহার ?
বৃষ্টিকে যে কেবল প্রশ্রয় দেয় না প্রকৃতি ,
বৃষ্টি যে একান্ত অনুগত -
দেয় গড়তে হৃদয়ের ভাঙাচোরা আকৃতি !
বৃষ্টি আসুক নিয়ে শুভ্রতা ,
হোক সকল মিথ্যার অবসান -
বৃষ্টির জল বয়ে নিয়ে যাক সকল মলিনতা !
