বিশ্ববঙ্গ
বিশ্ববঙ্গ
সন্ধ্যে হতেই স্তব্ধ হ'ল পাড়া ;
টিমটিম জ্বলে বিজলীবাতির স্তম্ভ,
বিরোধীরা আজ ক'মাস গ্রামছাড়া ;
কমেনি ফোঁটাও বন্ধুজনের দম্ভ।
চাঁদ উঠেছে বাঁশবাগানের ফাঁকে ;
বিহ্বল আলো জোনাকপোকার গায়,
সাড়া দিতে হয় টিকটিকিদের ডাকে ;
এটাই যেন তাদের বিষম দায় ।
চৈত্র শেষে পাতকুয়োটায় জল ;
শুকিয়ে গিয়ে কাদাবালি ওঠে,
থেমে গেছে নদীটির কল্লোল ;
বালি খুঁড়েও জল আসে না মোটে।
জষ্টিমাসে আম কাঁঠালে বেলে ;
ঠোঁট ঠেকিয়ে স্বাদগ্রহনে কাক,
আদুল গায়ে সিগনিচোষা ছেলে ;
ওদের কথা বলব নাকো ; থাক !
ঠাকুর ঘরে বন্ধ সন্ধ্যারতি ;
রোজ জ্বলে সাঁঝবেলাতে দীপ,
কেউ জানে না কবে কার দুর্গতি;
আসবে তেড়ে ; ভয়ে বুক ঢিপঢিপ।
বাঁশের আগুড় গুল্মলতার বেড়া ;
খড়ের চালে সাপেদের আস্তানা,
ভাগশেষ রয় আস্ত কাঁথা ছেঁড়া ;
মিয়োনো মুড়ি আর খাস্তা না ।
পায়নি যারা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার ;
স্বাস্থ্যসাথী জীবন বীমার কার্ড,
তারাই আজকে গাঁয়ের কাণ্ডার ;
গাছের শাখে জ্যান্ত হামিং বার্ড ।
