ভয়
ভয়


একলা মনের বদ্ধ ঘরে আষ্টেপৃষ্ঠে আঁকড়ে ধরে একটা ভয়,
প্রলয়মাখা জীবন ঝড়ে বেদনার স্মৃতি জাগে বিনিদ্র প্রহর;
ভেন্টিলেশন ও পরিসমাপ্তির মধ্যিখানের সেই তীব্র আশঙ্কা -
শ্বাসরোধী কয়েকটা মিনিট, তারপর অতর্কিতেই সব শেষ!
বৈদ্যুতিক আগুনঘরে সর্বাঙ্গে পুড়ে ছাই বাবার নশ্বর শরীর,
সেই থেকে ভয়টা গ্রাস করে, নৈঃশব্দ্য বেয়ে ওঠে ছায়াপথে,
বিচ্ছিন্ন বাতাস থেকে বুকের ওপর নেমে দমবন্ধ করতে চায়;
কাছের মানুষগুলোকে চিরতরে হারিয়ে ফেলার প্রবল ভয়,
গলার কাছে দলা পাকানো অতীতের যন্ত্রণারা কামড়ে ধরে,
জীবনের প্রতি বাঁকে ধূসর ক্যানভাসে আঁকা আছে মৃত্যুভয়;
আবহমান সময়ের আলোর পথ হারায় নীরবতার আঁধারে,
নিঃস্ব হওয়ার ভয়ে অন্তরের শোকমন্দিরে নিঃসঙ্গ নির্বাসন;
একাকী নিঃশ্বাসের কাছে সুযোগ বুঝে ওঁৎ পেতে থাকে ভয়,
আসলে চুল্লি তো বন্ধন বোঝে না, দহনের ধর্মে সে অবিচল।