ভার্চুয়াল মেকওভার
ভার্চুয়াল মেকওভার
মোবাইলের এই ভার্চুয়াল দুনিয়ায় সব কিছুই সম্ভব,
সম্পর্ক থেকে শুরু করে যা কিছু ছিল অবাস্তব।
চুল না ছুঁয়েও পাল্টানো যায় চুলের স্টাইল বা কাটিং,
কোঁকড়ানো চুল পছন্দ না হলে করে নাও কেরাটিন।
মোটা ভুরু, সরু কিংবা জোড়া করা কি এমন কঠিন!
খুঁজে নাও না এখানে যেমন রঙের চাই ফাউন্ডেশন,
কালোকে ফর্সা বানাও, কিবা রাত আর কিবা দিন।
ডালের বড়ির মতো নাকটাকেও একটু টেনে তোলো,
ঠোঁট দুটো সরু কিংবা মোটা যেমনটাই হোক ভোলো।
যে কোনো রঙে রাঙাও, যেমন ইচ্ছে আকার দাও,
জেনে রেখো এখানে কেউ করবেনা তোমায় বারণ।
ম্যাশকারা, আই লাইনার, ফলস চোখের পাতা,
যা চাও, সব পেয়ে যাবে তৎক্ষণাৎ, নেই মাথাব্যথা।
ইচ্ছে মতো লাগাতে পারো নানা রঙের আইশ্যাডো,
ছবিটাকে মোহময়ী লাগবে নিশ্চয়ই, লাগতে বাধ্য ।
বেড়ালদের মতো মানুষের মুখ সব একরকম নয়,
প্রতি মানুষের মুখ দেখে আলাদা আলাদা মনে হয়।
তাই মেকওভার করে, শুধু সাজলেই চলবেনা সুন্দরী!
মেকাপের পরে যেন চেনা যায়, এটাও খুব জরুরী।
তাই ভার্চুয়াল দুনিয়ার সাজুগুজু খেলা, শুধু নয় !
সত্যিকারের জীবনেও সাজগোজ একটু শিখতে হয়।
খুব বেশী উগ্র সাজ কিন্তু অনেকেরই পছন্দ নয়,
সবার মাঝে নিজেকে জোকার বানানো উচিত নয়।
সাজলে মন ভালো থাকে, দেখতেও ভালো লাগে,
নিজেকে ভালোবেসে, সাজবে তো নিশ্চয়ই, অবশ্যই,
কিন্তু সেজেছো যে, তা যেন সহজে বোঝা না যায়।
কেয়ারলেস কেয়ারফ্রী বলে কেউ হয়তো ঠেস দিলো,
কি এসে যায়, কথাটা মোটে, গায়ে না মাখলেই হলো !