বেঁচে থাকার গান
বেঁচে থাকার গান
আমার জীবনের এ এক ভয়াবহ গল্প,
যা অতীতের স্মৃতির পাতায় আজও
উজ্জ্বল হয়ে আছে অল্প|
থেকে থেকে মনের কোন হতে
দেয় উঁকি,
দম বন্ধ হয়ে আসে চোখের সামনে
ফুটে ওঠে সেদিনের সেই করুন পরিনতি|
ভয়ে সর্ব শরীর ওঠে কেঁপে,
হৃদয়ের গভীর রক্তক্ষরন জীবন খাতার
পাতায় কষ্টের ছবি যায় এঁকে|
ভুলতে চেয়েও ভুলতে পাড়িনা!
কি বীভৎস সেই স্মৃতি!
আমার ছোট্ট শরীর হয়েছিল
ক্ষত-বিক্ষত, তখন বুঝিনি কি
করছিলাম আমি ক্ষতি|
এখন বুঝি ক্ষতি আমি কিছুই করেনি,
এ যে মোহ লালসায় ঘেরা
বিকৃত মস্তিষ্কের রূপ,
যা আমার চোখের সামনে ছিড়ে
ফেলেছিল মুখোশ,বেড়িয়ে এসেছিল
আসল স্বরূপ|
মুখোশের আড়ালে লুকিয়ে থাকা
শ্বাপদ রুপি মানুষ দের এ এক
অন্য কদর্য দিক,
যেখানে আপন, পর, ভালোবাসা
সব কিছুই যেন মূল্য হীন |
নিখুঁত অভিনয় করে কাটিয়ে চলে
এরা জীবন অানন্দ আর খুশিতে
আপনজনের ভীড়ে,
যা কিছু হিসাব সব আছে তোলা জীবন
খাতার পাতাতে, বিচার হবে সবকিছু
ঠিক একটু একটু করে|
যখনই চোখের সামনে দেখি মুখোশের
আড়ালে লুকিয়ে রাখা সেই হিংস্র মুখ
হৃদয়ে দানা বাঁধে একরাশ ঘৃনা,
মুখে এনে তাচ্ছিল্যের হাসি,
প্রশ্ন করি নিজেকে, এদের অদৌও
আপনজন বলে কিনা??
চিৎকার করে প্রতিবাদ করতে
ইচ্ছা করে, ঘৃনার আগুন জ্বলে
ওঠে চোখে,
কথা গুলো যেন দলাপাকিয়ে
আটকে যায় এসে মুখে!!
নিজের ঘৃনার জ্বালায় নিজেই
দগ্ধে মরি কিছুই করতে পারিনা ব্যাক্ত!
অন্তর আমার বোবা কান্নায়
বার বার হয় শুধু সিক্ত|
অপরাধিরা আজ মুক্ত হয়ে জীবন
কাটাচ্ছে আপনজনের ছত্র ছায়া তলে,
আর নিস্পাপ কত প্রান আমার মত
বলি হয়ে তলিয়ে যাচ্ছে সময়ের অতলে|
এই ভাবেই আমাদের সমাজের শক্ত বেড়াজালে ঘেরা পরিবার চলেছে
বছরের পর বছর ধরে,
একদিন এই শক্ত বেড়াজাল হবে ছিন্ন,
বিষাক্ত কিট তাকে খাচ্ছে কুঁড়ে কুঁড়ে|
একদিন ঠিক হবে সব
অপরাধের অবসান,
নতুন প্রভাতের সোনালী আলোয়
জীবন আবার গেয়ে উঠবে
বেঁচে থাকার গান|
