অশ্রুসিক্ত হাসি
অশ্রুসিক্ত হাসি


বিষাদে ভরপুর তিন অক্ষরের ছোট্ট শব্দ - 'বিদায়',
কী অসীম ক্ষমতা তার! এক লহমায় বিচ্ছিন্ন বন্ধন!
ভর্তি হলঘরের কোণায় কোণায় বিষণ্ণতার ছোঁয়া,
দীর্ঘ বারো বছর ধরে তিলে তিলে গড়ে ওঠা সম্পর্ক,
একটা ফেয়ারওয়েল অনুষ্ঠানে সবকিছুর ইতি টানা!
বন্ধুদের সাথে আনন্দ ও শিক্ষিকাদের গভীর স্নেহে
বিদ্যালয়কে প্রবাহিত করেছিলাম এই রক্তধারায়,
ভালোবাসার দ্বিতীয় বাড়িটা জুড়ে কত পিছুটান!
চন্দন, গোলাপে বিরহ যন্ত্রণার নীল কষ্টরা পুঞ্জীভূত,
স্কুল বিল্ডিং, স্তবের ক্লাস ঘিরে অমলিন কত মুহূর্ত!
কতদিনের চেনা আশ্রমে বিদায়বেলায় আরেকবার,
ঠাকুর-মা-স্বামীজির আশীর্বাদই আগামীর পাথেয়;
অনুষ্ঠানে প্রকট ওই ধাবমান কালের যাত্রার ধ্বনি,
উচ্চশিক্ষার স্বার্থে এভাবেই ছেড়ে যে যেতেই হবে -
বারো বছরের শ্রেষ্ঠ প্রাপ্তিটা 'সেরা ছাত্রী' সম্মাননা,
শেষ লগ্নে মাইক হাতে নিয়ে গলাটা ভারি হয়ে গেল,
গলার কাছে দলা পাকানো কষ্টটা করল অশ্রুসিক্ত;
উঠে এলেন প্রব্রাজিকা দিব্যমাতা, তাঁর চোখে জল!
স্নেহসুধায় ভরপুর মাতাজির আলিঙ্গনে হলাম ধন্য,
দিদিরা দিলেন দৃঢ়চেতা হয়ে পথ চলার আশীর্বাণী,
অশ্রুসজল হয়েও ভাস্বর সেদিনের ফুটে ওঠা হাসি।