অঙ্ক!
অঙ্ক!
ছোটবেলা থেকে আজও অবধি
আছে একটা বিষয়।
যেটার প্রভাব সারাজীবন ;
তবুও লাগে ভয়!
নাম টা আমি বলব এবার
মহাশয় তিনি অঙ্ক!
ছোট, বড়, বুড়োর মাঝে
ছড়ান তিনি আতঙ্ক।
ছোট থেকেই শুনি খালি
এনাকে করতে হয় অভ্যাস।
না করলেই মরেছ তুমি
বন্ধ হবে শ্বাস প্রশ্বাস!
মোটা মোটা বইয়ের মাঝে
থাকে যখন কে. সি. নাগ
মনে হয় তখন আমার উপর
ঝাঁপিয়ে পড়েছে বাঘ!
কারোর প্রিয় বিষয় কভু
শুনিনি কখনো গণিত
গণিতের অঙ্ক, অঙ্কের গণিত
মজবুত লাগে ভিত।
প্রথম থেকে শিখলে পরে
লাগে না যে কঠিন আর ।
কিন্তু আমরা সেটাই করি
জমিয়ে রেখে পাহাড়।
সব ছেলেমেয়ের ভীতির কারণ
এই বিষয়টারই প্রতি।
কিন্তু হিসেব না জানলে যে
সারাজীবন দুর্গতি!
ছোট্ট ছোট্ট ছেলেমেয়েদের
মনে ঢোকে দূর্বলতা।
শুনতে চায় না, লিখতে চায় না
রামানুজনের কথা।
উপপাদ্য শুনলে পরে
ভয়ানক জ্বর আসে
সম্পাদ্য ধরলেই কেমন
খুক খুক করে কাশে!
ত্রিকোণমিতি বা পরিমিতি
দুটোই দূরে থাক।
বাংলা বইটা দে আমায়
অঙ্কটা এখন রাখ।
জ্যামিতি বা পাটীগণিত
শুনলেই মাথা গরম!
অবশ্য বীজগণিত সূত্রের জন্য
একটু হলেও নরম!
ভয় আছে তবে লগারিদমে
দেয় যেন ঠ্যাঙ খোঁড়া করে
মাধ্যমিক টা গেলে আমি
অঙ্ক আগে দেবো ছেড়ে।
সুচক বা নির্ণায়ক
মোটামুটি যাবে চলে।
কিন্তু যেই আসবে রাশিবিজ্ঞান!
সূত্রগুলো যাই ভুলে!
মেট্রিক বা উৎপাদক
শিখলে খুব ভালো
না জানলে নামতাও তো
চোখ মুখ করে কালো।
আরো নানান অঙ্ক আছে
বইয়ের পাতা জুড়ে
থাকবে আরো নতুন অঙ্ক
সারাজীবন ধরে।
অঙ্কে যে মোরা পাচ্ছি ভয়
হিসেবে তো হবো বোকা।
দোকানে বাজারে আর যা যেখানে
মোর স্বভাবই হবে কেবল ঠকা।
ভালো না লাগলেও, ভালো না বেসেও
একটু তো হবে শিখতে।
নাহলে লোকসান আর লাভের ফারাক
পারব না কভু বুঝতে।
ভয় ভীতি সব জমতে জমতে
হারিয়ে গেছে অঙ্ক
সবার মনেই অঙ্ক যে আজ
হচ্ছে প্রবল আতঙ্ক!
অঙ্ক মোদের আতঙ্ক না
অঙ্ক মোদের জয়
অঙ্ক কে তোমরা আর কখনো
কোরো না গো অহেতুক ভয়।
ম্যাথেমাফোবিয়া কে করো দূর
অঙ্কে আনো বিশ্বাস ভরসা
দেখবে তখন লাগছে ভালো
অঙ্কেই হবে নেশা।
অঙ্ক একটা এমন বিষয়ে
ভালোবেসে যদি শেখো
ছাড়তে পারবে না কিছুতেই তখন
ভেবে নিয়ে একবার দেখো।
কিন্তু যদি তার উপরে
থাকে ঘৃণা, অপছন্দ।
জীবন হবে তোমার অঙ্কহীন
এলোমেলো হিসেবের ছন্দ!
রোজ শিখলেই ,রোজ করলেই
অঙ্ক হবে সোজা
আর জমিয়ে জমিয়ে পাহাড় করলেই
হবে সেটা আলবৎ বোঝা!