অবগাহন
অবগাহন


পাতার গায়ে জমেছিল বিন্দু বিন্দু জল..
কে যেন, বলেছিল! একদিন বন্যা হবে।
শুকনো মাটি ভিজে গিয়ে হবে থ্যাকথেকে কাদা.. তারপর জল থৈ থৈ,
পা বসে যাবে, গোড়ালি, হাঁটু, কোমর.....
আমি ডুবে যাব - গভীর থেকে আরো গভীরে...।
সে যুগে জলের বিশুদ্ধতা নির্ণয় করতে করতেই কাল কেটে গেছে, বান দেখেনি কখনো চোখ,
দূষণ... দূষণ... দূষণ --
ছটফট করেছি একফোঁটা দূষণ মুক্ত জলের জন্য।
তবু দূর থেকেই পাতার গায়ে চিকচিক দেখেছি... টলটল দেখেছি, দেখেছি চোরা প্রবাহমান এক গতি।
কেটে গেছে কাল....
বেশ কয়েকটা শীত পার করার পর! এখন আমি যাযাবর --
আশ্রয় ওই গাছতলা।
ওই বিন্দু বিন্দু জল, আমার মাথায়, কানে, গলা বেয়ে পায়ের তলায়...
একি! পায়ের তলাটা কাদা কেন!
ওমা! জল! পায়ের পাতা, গোড়ালি, হাঁটু, কোমর ডুবছে..
সমস্ত চারপাশটা জলমগ্ন,
আমি ডুবছি.. আমি ডুবছি.. গভীর থেকে আরো গভীরে, স্ফটিকের মত স্বচ্ছ এক অতলে, নাক বরাবর সোজা পথ.. শাখা বিহিন।
আমি ডুবে যাচ্ছি মানস মুকুল ---
তুমি শুনতে পাচ্ছ!..... আমি ডুবে যাচ্ছি সুনীল অতলে....
উঠতে চাই না আর...
উঠতে চাইছি না আর ...
উঠবোনা আর...।