' মেঘ' কবিতায় এমনো হয়' শ্রাবণ
' মেঘ' কবিতায় এমনো হয়' শ্রাবণ


মেঘ ---
আচ্ছা! ধরো, কাল থেকে যদি এমন হয়!
তোমার জানলা বেয়ে যে আলোর যাতায়াত;
হঠাৎ যদি বন্ধ হয়ে যায়! ....
না মানে, ওই যে -- তোমার নিষেধাজ্ঞা, পর্দা টানা, ছিটকিনি দেওয়া....।
তারপরেও ওই অবাধ্য আলোকরশ্মি
তোমার জানলায় হাজির হয়,
তোমার জেহাদনামা অস্বীকার করে,
সব এলোমেলো করে দেয় ---
পন্ড করে তোমার অতি প্রিয়,
বিষাদ মন্দিরের মৌনতা,
শান্তি বিঘ্নিত করে দেয়, এই তিল তিল করে গড়ে ওঠা একলা ঘর, একলা দেশ, এর
।
তার চেয়ে বরং আলো ছুটি নিক...
ফিরে যাক তার একলা ঘুমের দেশে,
পৃথিবীতে সে আর কখনো আলো দেবেনা --
এ অন্ধকারাচ্ছন্ন ভূমি তার দেশ নয়...
এখানে সবাই আলোয় পুড়তে জানে
আলো জ্বালাতে অক্ষম।
সকাল সন্ধে মিঠে রোদ গায়ে মেখে
সূর্যস্নান হয় না,, তার চেয়ে বরং,
ঘড়ি ধরে খোঁজ নেওয়া হয় সূর্যদয় আর সূর্যাস্তের।
আবার, হারাতে সচেষ্ট সব্বাই হারিয়ে যেতে অক্ষম।
তাই বলি! নিভে যাক আলো...
চলে যাক কয়েক হাজার আলোকবর্ষ দূরে --
বেঁচে থাক বিষন্নতা.... জয়ী হোক,
ইচ্ছে-নদের ইচ্ছে-যাপন।
" কবিতায় এমনো হয় "
-যতবার বিবস্ত্র হয়েছে কবিতারা!
রক্তের ছিটে আকাশের গায়!
ঠিক তখনি ক্ষতের গায়ে
চন্দনের ঠান্ডা প্রলেপ লাগে,
হিসেব রাখেনি মাটি,
কবিতায় এমনো হয়.........।
তালগাছ একপায়ে দাঁড়িয়ে --
কথা রাখা না রাখার উর্দ্ধে;
কথার ঢেউ গোনে তালগাছ,
মেঘ বুকে করে অবিচল -
বারে বারে মুখ ফিরিয়েছে জল,
নির্জলাদিন, নির্জলা রাত, ছাতিম গাছে চাতক পাখি।
কবিতায় এমনো হয়-
শ্মশানে রাত জেগে কবিতা লেখা হয়।
" শ্রাবণ "...
তানিয়া ব্যানার্জী
যেন কয়েক দশক বাদে...
নতুন শ্রাবণ এলে,
একবুক চেরাপুঞ্জি সুখ।
ঘরে ফিরে গেছে, ছেঁড়া ছেঁড়া --
শরতের মেঘ সমূহ।
এবার আমি বৃষ্টি হব......
মুক্ত আকাশ বেয়ে,
ঝড়ে পড়বো আমার সবুজ অঞ্চলে।
ওহে, শ্যামল সুন্দর, তোমার এযাবৎ,
ধুলোয় মোড়া সকাল গুলো!
বৃষ্টিস্নাত হয়ে মিশে যাবে
তোমার পায়ের তলায়....
শুরু হবে, পায়ে পায়ে পথচলা।